মোঃ রেজাউল করিম:
ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানার বাংলাবাজার টাওয়ারের উত্তরে একটি বাড়ির সদর দরজায় সার্বক্ষণিক তালা ঝুলিয়ে রাখায় এলাকায় নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বাড়ির মালিক একজন দুধর্ষ প্রকৃতির মানুষ হওয়ায় তার ভয়ে কেউ তার বিষয়ে মন্তব্য করতে সাহস পাচ্ছে না। এ বিষয়ে এলাকার কিছু সচেতন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন বলেন, বাড়ির মালিকের নাম ফজলুল করিম। তিনি খুবই দুর্ধর্ষ প্রকৃতির ব্যক্তি। তার আচরণে এলাকার মানুষ ক্ষুব্ধ হলেও ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছে না। কারণ, নাম জানালে সার্বিক হয়রানি ও জীবননাশের হুমকি রয়েছে।
বাড়ির গেটের তালা ঝুলিয়ে রাখার কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, গেটের বাইরে তালা থাকা সত্ত্বেও কিছু ব্যক্তি গোপনীয়তার সঙ্গে বাড়ির ভেতরে আসা-যাওয়া করেন। আমরা খুবই মনোযোগ দিয়ে দেখেছি, প্রতিদিন সকালে ও রাতে কিছু নারী-পুরুষ গোপনীয়তা বজায় রেখে বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করেন।
বাড়ির ভেতর থেকে বের হয়ে আসা এক ব্যক্তি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হয়ে বলেন, এই বাড়ির ভেতরে শরীরের ক্ষতিকারক নানা ধরনের কেমিক্যাল মিশ্রিত দ্রব্য ব্যবহার করে চানাচুরসহ বিভিন্ন সময় সাপেক্ষে শিশুদের খাদ্য তৈরি করা হয়। এসব খাদ্য তৈরির উপকরণ এবং তৈরি খাদ্যদ্রব্য কাভার্ড ভ্যানের মাধ্যমে গোপনীয়তা বজায় রেখে ভোরবেলায় পরিবেশন করা হয় এবং দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় সরবরাহ করা হয়। আমাদের মালিক কোটিপতি হয়ে গেছেন।
এলাকাবাসী প্রশ্ন তুলেছে, বাড়ির ভেতরে কি কর্মকাণ্ড চলছে? ক্ষতিকারক খাদ্যদ্রব্য উৎপাদিত হলে কি ক্ষতিকারক কেমিক্যাল ব্যবহার করা হচ্ছে? বাড়ির আসা-যাওয়া এবং গেটের তালা ঝুলিয়ে রাখার পেছনে কি রহস্য? বাড়িতে কোনো অনৈতিক কর্মকাণ্ড হচ্ছে কিনা, তা দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকার সর্বস্তরের মানুষ।