সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে ত্যাগসংগ্রাম, সততা সুনাম ও জনপ্রিয়তা শীর্ষে – খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর

মোঃ নজরুল ইসলাম :

সিরাজ গঞ্জ -৩ (রায়গন্জ,তাড়াশ,সলঙ্গা) আসনে ত্যাগ সংগ্রাম,সততা সুনাম ও জনপ্রিয়তা শীর্ষে তাড়াশ উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সাবেক উপদেষ্টা, বারবার কারা নির্যাতিত, বিশিষ্ট সমাজ সেবক জিকেএস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান তাড়াশ উপজেলা বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ্ব, মরহুম খন্দকার আলী আকবর চেয়ারম্ানের জ্যেষ্ঠ পুত্র
জননেতা খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন।

ত্যাগ ও সংগ্রাম :–সিরাজগঞ্জের ৩ (রায়গঞ্জ গঞ্জ, তাড়াশ, সলঙ্গা) দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী খন্দকার জাহাঙ্গীর বলেন,
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল যে তিন শর্তে দলীয় মনোনয়ন সিদ্ধান্ত বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সোশ্যাল মিডিয়ায়, প্রকাশিত হয়েছে যদি সেই শর্ত গ্রহণ করে মনোনয়ন দেয় তাহলে আমি সর্বোচ্চ অবস্থানে থাকবো। আমি মনে করি সিরাজগঞ্জ ৩ (রায়গঞ্জ, তাড়াশ ও সলঙ্গা) আসনে বিএনপি যে কয়জন প্রার্থী আছে তারমধ্যে আমি হলো আওয়ামী লীগ কর্তৃক শারীরিক ভাবে নির্যাতিত। আমার হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছিল আওয়ামী লীগের আমলে। আমার সবচেয়ে সেবামূলক প্রতিষ্ঠান
(জি কে এস ফাউন্ডেশন) যেখানে এক হাজারের মতন কর্মী ছিল, গাড়ি ছিল বিএনপি করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সেটা বন্ধ করে দেয়। আমার স্ত্রী আওয়ামী লীগের আমলে প্রাইমারিতে চাকরি করত।বিএনপি করার অপরাধে বিনা নোটিশে তাকে চাকরিচ্যুত করেছে। স্বৈরাচার পতন আন্দোলনের সংগ্রাম করতে গিয়ে, আমি মিথ্যা মামলা জেল খেটেছি জেলে থাকা অবস্থায় আমার মা মারা গেছে। বৈষমবিরোধী যে আন্দোলন তাড়াশ উপজেলা হয় সে আন্দোলন আমার নেতৃত্বে দুটো পয়েন্টে আন্দোলন হয়েছে।একটি হলো তাড়াশ থানা রোড অপরটি হল খালকুলা বাজারে। খালকুল আন্দোলনে আমার কর্মী শাহীন বাবু আহত হয় মানুষ ভেবেছিল শাহিন বাবু মারা গেছে। আমার আপন ভাতিজা সাব্বির খন্দকার কে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কতৃক কুপিয়ে জখম করে ছিল।আল্লাহর রহমতে সে বেঁচে আছে তাড়াশ উপজেলা বর্তমানে সম্বনয়কের দায়িত্ব পালন করছে। ত্যাগের দিক দিয়ে আমার পরিবার সর্বোচ্চ আওয়ামী লীগ দ্বারা নির্যাতিত। আমার ছোট ভাই সাইফুল খন্দকার এর নামে ১৭ টি মিথ্যা মামলা রয়েছে। তার দলে কোন পদ-পদবী নাই। ১৯৭৮ সাল থেকে আমি বিএনপি করি। আমার রাজনীতি শুরু হয় ছাত্রদলের মাধ্যমে। নাটরে কলেজ শাখা ছাত্রদলের সভাপতি ছিলাম, তাড়াশে যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ছিলাম।
আমার বাবা ১০বছর বিএনপি তাড়াশ উপজেলা সভাপতি ছিল।
আমি ১৯ বছর তাড়াশ উপজেলা বিএনপি সভাপতি ছিলাম।
আমার জনপ্রিয়তা ভয় পাওয়ার কারনে তাড়াশ উপজেলা অতীতে বিএনপি পকেট কমিটি হয়েছিল। তাই বলতে চাই ত্যাগ ও সংগ্রামে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে দেশ ও দলের জন্য সবচেয়ে বেশী ত্যাগ স্বীকারকারী প্রাথী
সিরাজ গঞ্জ -৩ আসনে আমি।

সততা ও সুনাম :-আমি যদি বলি (রায়গঞ্জ, তাড়াশ, ও সলঙ্গা) উপজেলার মানুষ কে জিজ্ঞেস করলে একটি মানুষ ও বলতে পারবে না যে, সেলিম জাহাঙ্গীর কে রাজনৈতিক ভাবে কেউ আমাকে ঘুষ দিয়েছে। ৫ আগষ্টের পরে যেটুকু দলের ভিতরে চাঁদাবাজি, পুকুর দখল, হয়েছে আমি করিনি আমার কর্মীরা করে নাই। সততার সাথে কাজ করে আসছি। জিকেএস ফাউন্ডেশন, জিকেএস হসপিটাল, জিকেএস প্রাইমারী স্কুল, জিকেএস গার্লস স্কুল,রঘুনিলী মঙ্গল বাড়িয়া প্রাইমারী স্কুল, রঘুনিলী মঙ্গল বাড়িয়া হাইস্কুল,ভায়াট আলোকদিয়ার উচ্চ বিদ্যালয়,এ সকল প্রতিষ্ঠান আমি নিজেই করেছি। বন্যার সময় ৮৭থেকে শুরু করে ২০০৭সাল পর্যন্ত সিরাজ গঞ্জ জেলা ও তাড়াশ উপজেলা বিদেশ থেকে সাহায্য নিয়ে৷ বন্যার্ধদের মাঝে ব্যাপক এানসামগ্রী বিতরণ করেছি।

জনপ্রিয়তা:-জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে আওয়ামী লীগের আমলে আমি তাড়াশ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলাম। সেই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ব্যালট পেপার কাটার পরেও আমি ১৬৫০ ভোটে বিজয়ী ছিলাম। কিন্তু তৎকালীন প্রশাসন, সাবেক মন্ত্রী নাসিম সাহেবের ফোনে রেজাল্ট আমার প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ প্রার্থী কে
বিজয় ঘোষনা করা হয়।

খন্দকার সেলিম জাহাঙ্গীর আরো বলেন,
“দল এবার পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির প্রার্থী চাইছে। মূলত সেটি তুণমূলের চাওয়া। যারা দীর্ঘদিন এলাকায় আসেননি বা দলের কার্যক্রমে অংশ নেননি, তাঁদের প্রার্থী করা হলে তৃণমূল ক্ষুব্ধ হবে। দলের দুর্দিনে যারা মাঠে ছিলেন, তারাই যেন মনোনয়ন পান- এটা তৃণমূলের প্রত্যাশা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *