স্টাফ রিপোর্টার:
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ নাসিক ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব কলাবাগ সাইলো গেট এলাকার মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে মোসলেহ উদ্দিন সেলিম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালে সিদ্ধিরগঞ্জ পাওয়ার স্টেশনে বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান—যেমন বেঙ্গল, মাইক্রোপ্যাক্স ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং সেখানেই একটি শ্রমিক সংগঠন করতে গিয়ে নানা জটিলতা সৃষ্টি হয়। তৎকালীন সময়ে একাধিক মামলায় জড়িয়ে মোসলেহ উদ্দিন সেলিমের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়।
এরপর তিনি আত্মগোপনে চলে যান এবং সাউথ আফ্রিকায় পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, মোসলেহ উদ্দিন সেলিম কুমিল্লার মুরাদনগরের সাবেক এমপি কায়কোবাদ এর সরকারি টেন্ডারের কাজ থেকে চাঁদা না পেয়ে কাজ বন্ধ করে দেন।
তথ্যসূত্রে আরও উঠে আসে, দীর্ঘ ১৯ বছর পলাতক থাকার পর সেলিম বর্তমানে সিদ্ধিরগঞ্জের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে এসে নিজেকে বিএনপির নেতা হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন এবং সিনিয়র বিএনপি নেতাদের নাম ভাঙিয়ে এলাকায় দখল, চাঁদাবাজি ও অত্যাচারের রাজত্ব কায়েম করতে চাইছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মোসলেহ উদ্দিন সেলিম নিজেকে সাবেক এমপি আলহাজ্ব গিয়াস উদ্দিন সাহেবের খালাত ভাই পরিচয়ে তার নাম ব্যবহার করে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছেন এবং আওয়ামী লীগের দোসরদের নিয়ে বিএনপির নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন অপরাধে জড়িয়ে পড়েছেন।
তাদের আরও অভিযোগ, তিনি বিভিন্ন অফিস দখলের চেষ্টা করছেন এবং চাঁদা দাবি করছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোসলেহ উদ্দিন সেলিম কখনোই সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন না।
তারা আরও জানান, সুবিধাভোগের উদ্দেশ্যে মামলার পলাতক আসামি হয়েও তিনি এখন বের হয়ে এসে আওয়ামী লীগের লোকদের নিয়ে নিজেকে বিএনপি নেতা দাবি করছেন—এটি বোধগম্য নয়।
এদিকে, এলাকায় টানানো ব্যানারে মোসলেহ উদ্দিন সেলিমের পদবি দেওয়া হয়েছে “জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন”-এর সাবেক প্রধান উপদেষ্টা সভাপতি।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য মোসলেহ উদ্দিন সেলিমকে তার এলাকায় গিয়ে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সেটিও বন্ধ পাওয়া যায়।