নিজাম উদ্দিন:
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় চোরকে চিনে ফেলায় নৃশংসভাবে বৃদ্ধা সেতারা বেগম (৭০) হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মাত্র ২০ ঘণ্টার মধ্যেই ক্লু-লেস এই হত্যার রহস্য উদঘাটন করে জেলা পুলিশ।
জেলা পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুকের সার্বিক দিকনির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) আ.ন.ম ইমরান এর তত্ত্বাবধানে, সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের নেতৃত্বে ও পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মনির হোসেনের সমন্বয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে অংশ নেন এসআই (নিঃ) মো. খোরশেদ আলম, এসআই (নিঃ) সুভাষ পাল, এসআই (নিঃ) মিঠুন চন্দ্র শীল, এএসআই (নিঃ) মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. রেজাউল ইসলাম ও মো. নাছির উদ্দিনসহ পুলিশের একটি দল। ২১ জুন ভোর ৩টা থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত চলা রুদ্ধশ্বাস অভিযানে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় প্রথমে বেগমগঞ্জ থানার দুর্গাপুর এলাকা থেকে সরাসরি জড়িত আসামি মোরশেদ আলম মুন্সি (৩২) গ্রেপ্তার হয়। তার বসতঘর থেকে নিহতের মোবাইল, কাপড় ও সাউন্ড বক্স উদ্ধার করা হয়।
পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী ভোর ৫টা ২০ মিনিটে সোনাইমুড়ী থানার বজরা বাজার এলাকা থেকে প্রধান আসামি মো. মাহফুজুন নবী সুজন (৩৩) কে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা, স্ক্রু ড্রাইভার, একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন ও মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে প্রধান আসামি মাহফুজুন নবী সুজন হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে প্রেরণের প্রক্রিয়া চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এই দ্রুত ও সফল অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় জনগণ ও প্রশাসন।