স্টাফ রিপোর্টার:
দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে অভিযোগ উঠছে, বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক আব্দুর রশিদ দুর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লোপাট ও বিভিন্ন দেশে পাচার করেছেন। তাদের অভিযোগ, তিনি চাকরি করতেন এক জায়গায়, আর দায়িত্ব কার্যত দেখাশোনা করতেন অন্যত্র।
সূত্র বলছেন, হেড অফিসে সহকারী পরিচালক হিসেবে নিয়োজিত থাকলেও আব্দুর রশিদ নিয়মিত ঢাকার সচিবালয়ে কাজ করতেন। বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের ঘনিষ্ঠ হিসেবে অভিহিত তিনি, যার কারণে রশিদের বিরুদ্ধে নানা প্রশাসনিক ও নিয়োগ-বদলি প্রক্রিয়ায় অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিআরটিএ’র সদর কার্যালয়ে দায়িত্ব থাকা সত্ত্বেও তিনি ঢাকায় সচিবালয়ে অবস্থান করতেন। অথচ রশিদ বেতন গ্রহণ করতেন হেড অফিস থেকে। পরে তাকে সিলেট বিভাগীয় অফিসে বদলি করা হয়।
কিন্তু একই সঙ্গে সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ সার্কেলের দায়িত্বও তার দখলে। এরপর তিনি গত ১৫ জুন মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত দায়িত্বও হাতিয়ে নেন। এ বিষয়ে একাধিক সচেতন ব্যক্তিবর্গ বলেন, “একজন ব্যক্তি একযোগে চারটি সার্কেলের দায়িত্ব কিভাবে পালন করছেন?” যেন এক জীনের বাদশাহ এই আওয়ামী দোসর এডি আব্দুর রশিদ।
আব্দুর রশিদের অভিযোগের পরিসরে আরও আছে এমএসপিপিএল (মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টার্স প্রাইভেট লিমিটেড)-এর ‘দালাল’ হিসেবে । তাছাড়া, ভারতের সঙ্গে তার ব্যক্তিগত যোগাযোগ রয়েছে, যার সূত্র ধরে অভিযোগ হচ্ছে, ভারতে অর্থ পাচারের জন্য তিনি সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আব্দুর রশিদ মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে চারটি সার্কেলের দায়িত্ব হাতিয়ে নেন। তার মানে হলো, প্রশাসনে এখনো রয়েছে তার আধিপত্য।
এ বিষয় জানার জন্য আব্দুর রশিদের নিকট যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। বিষয়টি সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এবং বিআরটিএ চেয়ারম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন সাধারণ সচেতন মানুষ।