স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর সায়েদাবাদ এলাকায় আবাসিক হোটেলের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে মাদক ও অসামাজিক কার্যকলাপ। বাইরের সাইনবোর্ডে ‘আবাসিক হোটেল’ লেখা থাকলেও ভেতরে দিনরাত চলছে পতিতাবৃত্তি ও মাদকসেবনের অবাধ লেনদেন। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত সাধারণ যাত্রীরা রাত যাপনের জন্য এসব হোটেলে এসে প্রতারণা ও অনৈতিক প্রস্তাবের মুখোমুখি হচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, সায়েদাবাদ জনপদের মোড়ে ৭ নম্বর কাউন্টারের উপর অবস্থিত ‘হোটেল আল হায়াত’-এ দীর্ঘদিন ধরে চলছে অনৈতিক কর্মকাণ্ড। হোটেলটির মালিক সবুজ এবং ম্যানেজার হিসেবে রয়েছেন ইমরান ও আকাশ। একই এলাকায় অবস্থিত আরও দুটি হোটেল—‘হোটেল আল নাহিদ’ ও ‘হোটেল গ্রিন ভিউ’—তেও চলে একই রকম কার্যকলাপ। গ্রিন ভিউ হোটেলের মালিক মোঃ আলী এবং ম্যানেজার সোহাগকে কেন্দ্র করে এই চক্র কার্যক্রম চালিয়ে আসছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
অভিযোগ রয়েছে, এসব হোটেলে ২৪ ঘণ্টা ধরে চলে মাদকসেবন, যৌন বাণিজ্য এবং ব্ল্যাকমেইলিং। হোটেল মালিকদের দাবি, “পুলিশ ধরলে আমরা কিছুদিন চুপ থাকি, পরে আবার চালু করি। পুলিশ তাদের কাজ করে, আমরা আমাদের।” এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্যে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ দানা বাঁধছে।
সায়েদাবাদ থানার একটি সূত্র জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এসব বিষয়ে সজাগ রয়েছে এবং অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, “অভিযানে শুধু নিচুতলার কর্মচারীদেরই ধরা হয়, মূল হোতারা রয়ে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে। ফলে অপরাধের মূল শিকড় অক্ষত থেকে যায়।”
স্থানীয় নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে জোর দাবি তোলা হয়েছে, এসব হোটেলের মালিক ও মূল পরিচালকদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। পাশাপাশি, সায়েদাবাদ এলাকায় চলা সকল আবাসিক হোটেলের কার্যক্রম নিয়মিত তদারকির আওতায় আনতে হবে এবং অসামাজিক কার্যকলাপে জড়িত হোটেলগুলোর লাইসেন্স বাতিলসহ কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।
নয়তো এসব অপরাধ সংগঠিত হয়ে সমাজে ভয়াবহ প্রভাব ফেলবে এবং তরুণ সমাজ আরও বিপথগামী হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল।