গাজীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে সক্রিয় দালাল চক্র

স্টাফ রিপোর্টার: 

গাজীপুরে আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে দালালদের সক্রিয় উপস্থিতি ও কর্তৃত্বের ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়ছে পাসপোর্ট সেবা গ্রহণকারী সাধারণ জনগণ। পাসপোর্ট করতে আসা একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ, নিজেরা আবেদন করতে গেলে নানা অজুহাত ও হয়রানির মাধ্যমে তাদের বিপদে পড়তে হয়।

কিন্তু দালালের মাধ্যমে অতিরিক্ত অর্থ দিয়ে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করিলেই মূহুর্তেই মিলে যায় আলাদীনের চেরাগ। এ ছাড়াও পাসপোর্ট অফিসের আশপাশে গড়ে উঠা প্রায় ২৫ থেকে ৩০টি কম্পিউটারের দোকান রয়েছে যার মাধ্যমে পাসপোর্ট, এনআইডি ও ভিসার মতো সকল ধরণের কাজের আবেদন, ভূল সংশোধন ও তাদের মাধ্যমে পাসপোর্ট করে দেওয়া হয় বলে প্রমাণ মিলে।

এসব কম্পিউটার দোকানে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে দালালদের মাধ্যমে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করিলেই হাতে পেয়ে যায় পাসপোর্ট। তাছাড়া নাম সংশোধন, ঠিকানা সংশোধন বা জন্ম তারিখ পরিবর্তনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোও টাকার বিনিময়ে দালালরা ঠিক করে, পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে থাকেন তাহলে সহজে পেয়েও যায়। অন্যথায় সরাসরি আবেদন করলে পাসপোর্ট অফিসের অফিসারগণ সাধারণ মানুষদেরকে বানিয়ে ফেলেন রোহিঙ্গা।

গাজীপুরের সদর থানা আওতাধীন মুন্সি পাড়া এলাকার হৃদয় বর্মণ, গাজীপুরে বসবাসরত সন্ধ্যা বালা দাসসহ অসংখ্য পাসপোর্ট আবেদনকারী কয়েক দফা আবেদন করেও হয়রানী শিকার হয় এবং তাদের ভাগ্যে মিলে না পাসপোর্ট।

এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য গাজীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক নাসরিন পারভিন নুপুরের নিকট তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চাওয়া হলে তিনি জানান, তাঁর এলাকায় যারা পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছে তারা সকলে পাসপোর্ট পেয়েছে। কিন্তু তার দেওয়া তথ্য ও কথার সাথে কোন মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি।

যে জনগণ পাসপোর্ট করে বিদেশ গিয়ে দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোকে শক্ত করবে তারাই গাজীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা/কর্মচারী ও দারালদের নিকট জিম্মি। তথ্যাবধায়ক সরকার পাসপোর্টের জন্য পুলিশ তদন্ত বাতিল করিলেও গাজীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কিছু আওয়ামী লীগের দোসর থাকার কারণে অবৈধ লেনদেন ছাড়া পাসপোর্ট করতে পারে না।

যার কারণে দেশের অর্থনৈতিক কাঠামোকে বাঁধাগ্রস্থ করছে এবং তাঁরা ফায়দা লুটে নিচ্ছে। গনমাধ্যমকে গাজীপুরবাসী জানায়, আপনারা এ সকল অপকর্ম তুলে ধরে উর্ধতন কতৃপক্ষের নজরে দিন এবং যারা এই অপকর্মের সাথে জড়িত তাদেরক আইনের আওতায় এনে বিচার করার ব্যবস্থা করা হউক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *