হেলাল উদ্দিনঃ
মুজিবনগর খ্যাত ছোট্ট জেলা মেহেরপুর। এই জেলার শহরটির পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করা সবার দায়িত্ব হলেও বাস্তবে ঘটছে উল্টো চিত্র। মেহেরপুর শহরের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট কলেজ মোড়ে প্রধান সড়কের পাশেই গড়ে উঠেছে অবৈধ বালির ব্যবসা, যা প্রশাসনের চোখের সামনে দিনের পর দিন চললেও কার্যকর ব্যবস্থা নেই বললেই চলে।
নতুন বাস টার্মিনাল চালু না হওয়ায় কলেজ মোড়েই দূর-দূরান্ত থেকে আসা যানবাহন থেমে যাত্রী ওঠানামা করে। এই মেইন রোডের পাশে বালি রাখার কারণে পরিবহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে, পাশাপাশি বালির ধুলো শহরের পরিবেশ মারাত্মকভাবে দূষণ করছে। বালির পাশেই রয়েছে মেহেরপুর সরকারি কলেজ, মসজিদ, পাবলিক টয়লেট, পুলিশ বক্স, পোস্ট অফিস, ফিলিং স্টেশন এবং পৌরসভার বড় কবরস্থান। আরও রয়েছে ইয়ারুল হোটেল, মিষ্টির দোকানসহ নানা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলামের বাসভবন, যেখান থেকে ধুলোবালির কারণে স্বাভাবিক বসবাস করাই এখন কষ্টকর।
ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের অভিযোগ, আগে এলাকাবাসীর আবেদনে সড়ক ও জনপথ বিভাগ, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপে কিছুদিনের জন্য বালির ব্যবসা বন্ধ হলেও সম্প্রতি আবার শুরু হয়েছে। ফলে আবারও ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারী, যাত্রী ও ব্যবসায়ীরা।
ঢাকা ও কুষ্টিয়া থেকে আগত বাসগুলো যাত্রী নামাতে গিয়ে রাস্তার উপর দাঁড়াতে বাধ্য হচ্ছে, কারণ বালির কারণে পাশে গাড়ি থামানোর জায়গা নেই। এতে করে সড়কে যানজট বাড়ছে এবং বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে।
এলাকাবাসী, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক মহল অবিলম্বে এই অবৈধ বালির ব্যবসা বন্ধে প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ দাবি করেছেন।