স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা যাত্রাবাড়ীর চৌরাস্তা সংলগ্ন ৩৩৯/এ দক্ষিণ যাত্রাবাড়ী, ইলিশ কাউন্টার লাগোয়া একটি ভবনে ‘হোটেল আয়শা মনি’ নামের আবাসিক হোটেলের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে চলছে দেহ ব্যবসাসহ অসামাজিক কার্যকলাপ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হোটেলটির ম্যানেজার তোফাজ্জেল ও মালিক সাগরের সরাসরি তত্ত্বাবধানে এ অবৈধ কর্মকাণ্ড পরিচালিত হচ্ছে।
এছাড়া, একই এলাকার পূবালী অঞ্চলের ৩৩৯ নম্বর দত্তখালী যাত্রাবাড়ীতে অবস্থিত ‘হোটেল নিউ মেঘনা (আবাসিক)’ তেও একই ধরনের অনৈতিক কার্যক্রম নির্বিঘ্নে পরিচালিত হচ্ছে।
প্রতিদিন দেশের দক্ষিণাঞ্চল থেকে হাজার হাজার মানুষ যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকায় যাতায়াত করে। রাতে অবস্থানের জন্য অনেকেই স্থানীয় আবাসিক হোটেলগুলোতে আশ্রয় নেন। কিন্তু এসব হোটেলে গিয়ে অনেকে পড়ছেন চরম বিপাকে—কেউ কেউ ব্ল্যাকমেইলের শিকার হচ্ছেন, আবার কেউ হচ্ছেন অনৈতিক প্রস্তাবের সম্মুখীন।
ভুক্তভোগীদের মধ্যে বরিশাল থেকে আগত এক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “রাতে হোটেল আয়শা মনিতে রুম ভাড়া নেই, কিছুক্ষণের মধ্যেই দরজায় নারীরা এসে নক করে। পরিস্থিতি খারাপ দেখে হোটেল ছেড়ে চলে আসি।” আরেক ভুক্তভোগী হোটেল নিউ মেঘনায় রাত্রিযাপন করতে গিয়ে জানান, রুম ভাড়া নেয়ার কিছুক্ষণ পরই কয়েকজন লোক তাকে নারীদের দেখিয়ে পছন্দ করার প্রস্তাব দেন।
এই বিষয়ে হোটেল আয়শা মনির ম্যানেজার তোফাজ্জেল প্রকাশ্যে বলেন, “সব ম্যানেজ করেই করতে হয়। প্রশাসনের লোকজনও এখানে যাতায়াত করে, তাই সমস্যা হয় না।” মালিক সাগরের বক্তব্য ছিল আরও বিস্ময়কর—”আমার অনেক ব্যবসা আছে, শুধু সাংবাদিকরাই সমস্যা করেন। অনেক সাংবাদিককেই ম্যানেজ করি।”
স্থানীয়দের দাবি, প্রশাসনের ছত্রছায়ায় চলা এসব হোটেল অবিলম্বে বন্ধ করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। একই সঙ্গে হোটেল আয়শা মনি ও হোটেল নিউ মেঘনার বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন মহল।