নাছিমা খাতুন সুলতানা:
নেত্রকোনা জেলা সদর উপজেলার ৯ নম্বর চল্লিশা ইউনিয়নের শোনোরা গ্রামে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত দুইজন আহত হয়েছেন।
সূত্রে জানা গেছে, গত ঈদুল আজহার দিন ঈদের নামাজ আদায় করতে গ্রামবাসী ঈদগাহ মাঠে জড়ো হন। এ সময় ইমাম নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা। সংঘর্ষের শুরুতে শোনোরা গ্রামের মৃত সিরাজ আলীর ছেলে নুরুল ইসলাম নয়নকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। অভিযুক্তরা হলেন একই গ্রামের মৃত আলাউদ্দিন সরকারের ছেলে মোঃ বাচ্চু সরকার ও তার সহযোগীরা।
ঘটনার একপর্যায়ে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে নয়ন ও বাচ্চু সরকারসহ উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল ও ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ঘটনায় বাচ্চু সরকারের ভাই বাদী হয়ে নেত্রকোনা মডেল থানায় একটি লিখিত এজাহার দায়ের করেন, যাতে নয়নসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়। অভিযোগের ভিত্তিতে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পান।
ঘটনার পর স্থানীয় জনগণের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিকগণ সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে, স্থানীয়রা জানান—উক্ত মসজিদ ও ঈদগাহ মাঠের সভাপতি হিসেবে আগে দায়িত্ব পালন করতেন নয়ন মিয়া। কিন্তু সরকার পরিবর্তনের পর সেই দায়িত্ব গ্রহণ করেন বাচ্চু সরকার। এই নিয়েই দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। ঈদের দিন উভয়পক্ষ ঈদগাহে উপস্থিত হলে পুরনো বিরোধের জেরে সংঘর্ষে জড়ান।
গ্রামের সাধারণ মানুষ এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।” এ বিষয়ে তারা জেলার ঊর্ধ্বতন প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের এবং পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।