স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক:
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান অভিযোগ করেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের মধ্যেই রয়েছে আওয়ামী দলের ‘ছায়া’ বা প্রেতাত্মা। বুধবার দুপুরে তার ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি বলেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া গণঅস্থিরতার (মব) পেছনে সরকার পরিকল্পিতভাবে মদত দিচ্ছে।
রাশেদ খান লিখেছেন, মব সৃষ্টি হওয়ায় পুলিশ বাধ্য হয়ে নুরুল হুদাকে গ্রেফতার করেছে। যদি মব না হত, তাহলে হয়তো তাকে গ্রেফতার করা হতো না। এই অভিযোগের পেছনে রকিব উদ্দীন ও সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়ালের গ্রেফতারকেও যুক্ত করেছেন তিনি। রাশেদ খান বলেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা তাদের গ্রেফতারের বিষয়ে পুলিশকে কোনো নির্দেশনা দেয়নি।
তিনি আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর শান্তি প্রতিষ্ঠায় মব কখনোই সাহায্য করবে না, অথচ সরকার নিজেরাই আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট অপরাধীদের গ্রেফতার করছে না। তিনি বলেন, “সরকার সব সময় মৃদু ভূমিকা পালন করছে, কারণ উপদেষ্টা পরিষদের মধ্যেই রয়েছে আওয়ামী দলের ‘ছায়া’।” তাদের উদ্দেশ্য আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা নয়, এবং তাদের পেছনে দীর্ঘমেয়াদি ষড়যন্ত্র থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
রাশেদ খান প্রশ্ন তুলেছেন, কেন শেখ পরিবারের কাউকে গ্রেফতার করা হয় না? কেন আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় এমপি-মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? কেন ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে যুক্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না? তার মতে, সরকারের এই অব্যবস্থাপনার কারণেই মব সৃষ্টি হচ্ছে।
তিনি বলেন, মবের দায় পুরোপুরি সরকারের। “যদি সরকার আওয়ামী দলের দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করতো, তাহলে দেশে এই বিশৃঙ্খলা হত না। জনগণের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে নুরুল হুদার ওপর মব তৈরি হচ্ছে।”
রাশেদ খান আরও অভিযোগ করেন, “সরকার যদি সময়মতো নুরুল হুদাকে গ্রেফতার করতো, তাহলে কি এই মব তৈরি হত? তাহলে এই মব কে তৈরি করছে? সরকারই পরিকল্পিতভাবেই এই মব তৈরি করছে।”
এই মন্তব্যের মাধ্যমে রাশেদ খান অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিমালা ও আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকা নেতাদের প্রতি প্রশ্ন তুলে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন।