গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুর মহানগর ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড দক্ষিণ খাইলকৈর এলাকায় জোর করে দেয়াল নির্মাণ করে রাস্তা বন্ধ করার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার বাসিন্দা আওয়ামী লীগের দোসর ওমর আলী ও ভাগিনা দিপুর বিরুদ্ধে।
সরাসরি গিয়ে দেখা যায়, আওয়ামী দোসর ওমর আলী ও ভুক্তভোগী লোকমান মিয়া উভয়ে একই ব্যক্তির কাছ থেকে জমিটি ক্রয় করেন। ওমর আলীর জমির পেছনে রয়েছে প্লটের মালিক লোকমান মিয়ার জমি। লোকমান মিয়ার দ্বিতীয় প্লট থেকে রাস্তায় আসার জন্য ওমর আলীর জমির পশ্চিম পাশে ৫ ফিট পরিমাণ জমি রাস্তার জন্য বরাদ্দ দেন জমির মালিক, যা দলিল ও স্থানীয় কাউন্সিলরদের মীমাংসায় উল্লেখ রয়েছে।
দীর্ঘদিন যাবৎ উক্ত জমি ও রাস্তা ভোগ দখল করে আসছেন লোকমান মিয়া ও তার পরিবার। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী লোকমান মিয়ার ছেলে মো. শাহিন বলেন, “দীর্ঘদিন আমরা এই রাস্তা ব্যবহার করে আসছি। হঠাৎ করে সামনের প্লটের মালিক আওয়ামী লীগের দোসর ওমর আলী ও তার ভাগিনা দিপু রাস্তা না দিয়ে উক্ত জায়গার ওপর বাউন্ডারি ও ঘর নির্মাণ করছেন। আমরা বাধা দিলে আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। আমার ছোট ভাইকে ছাত্রলীগের ট্যাগ লাগিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে।”
শাহিন আরও বলেন, “আমার ভাই একজন কলেজ শিক্ষক, তার বিভিন্ন নেতার সাথে ছবি থাকায় তারা সেই ছবি ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ ট্যাগ দিয়ে আমাদের উচ্ছেদের পাঁয়তারা করছে।”
বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হলেও তারা ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই জোরপূর্বক দেয়াল নির্মাণ শুরু হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ওমর আলীর ভাগিনা দিপুর বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি দিনে-দুপুরে এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে খারাপ আচরণ, হুমকি, চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছেন। অথচ তার বাবা ৩৮ নম্বর ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি ছিলেন।
সরাসরি দেখা যায়, ওমর আলী ও দিপু মিলে সন্ত্রাসী কায়দায় মব তৈরি করে রাস্তার ওপর দেয়াল নির্মাণ করছেন, যা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। সাংবাদিকরা গেলে তাদের সাথেও খারাপ আচরণ করে ‘দেখে নেওয়ার’ হুমকি দেন দিপু।
বিষয়টি সাংবাদিকরা ৯৯৯-এ জানালে আধা ঘণ্টার মধ্যে গাছা থানার পুলিশ আসে। পুলিশের সামনেই ওমর আলী ও দিপু বলেন, “গাছা থানার ওসি তাদের রাস্তা বন্ধ করে ঘর নির্মাণ করতে বলেছেন।”
তবে গাছা থানার ওসি এ দাবি অস্বীকার করেন।
সারাদেশেই কিছু আওয়ামী দোসরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তারা সাধারণ মানুষকে আওয়ামী লীগ ট্যাগ দিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করছেন, যার ফলে সাধারণ মানুষ বলছে—”আগে ভালো ছিলাম”।
সাংবাদিকরা ওমর আলী ও দিপুকে প্রশ্ন করেন, তারা বিএনপি বা জামায়াত করেন কিনা। উত্তরে তারা বলেন, “না, আমরা এখন কোনো দল করি না।” এখানেই বোঝা যায়, তারা নিজেদের স্বার্থে আওয়ামী লীগের ট্যাগ ব্যবহার করে দুর্নীতিকে আঁকড়ে ধরেছে, এবং সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে।