স্বাধীন আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমে ফাঁস হওয়া মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার প্রাথমিক মূল্যায়ন অনুযায়ী, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠছে—ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে বিলম্বিত না করে কি আরও গতিশীল করবে?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্ষতি কাটিয়ে উঠলে এবং নিহত বিজ্ঞানীদের স্থলে নতুনদের নিযুক্ত করলে পারমাণবিক কর্মসূচির গতি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দুই দেশের হামলার প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে এখনো সময় লাগবে।
ইসরাইল দাবি করে আসছে, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির খুব কাছাকাছি রয়েছে, যদিও এ বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে বিতর্ক রয়েছে। ইরানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের পারমাণবিক কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। অন্যদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরান আর কখনও পারমাণবিক কর্মসূচি গড়ে তুলতে পারবে না।
ইরানের ক্ষমতাসীনরা মনে করছেন, তারা একটি সীমা অতিক্রম করেছে এবং পারমাণবিক অস্ত্রই ভবিষ্যতের হামলা থেকে রক্ষার একমাত্র মাধ্যম হতে পারে। এর আগে, উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্রধারী হওয়ায় কখনও কোনো হামলার শিকার হয়নি, যা একটি উদাহরণ।
বুধবার ইরানের সংসদ আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থা (আইএইএ) এর সঙ্গে সহযোগিতা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিছু কর্মকর্তাও পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (এনপিটি) থেকে বেরিয়ে আসার কথা বলেছেন।
এছাড়া, ইরান যে ৬০ শতাংশ সমৃদ্ধকৃত প্রায় ৪০০ কেজি ইউরেনিয়াম উৎপাদন করেছে, তার বিষয়ে এখনও বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ হয়নি। এ মাত্রার পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণকে অস্ত্র তৈরির মাত্রার ঠিক এক ধাপ কম ধরা হয়।
আন্তর্জাতিক কূটনীতিকরা মনে করছেন, ইসরাইল-ইরানের যুদ্ধবিরতি অব্যাহত থাকলে একটি নতুন পারমাণবিক চুক্তির আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান শর্ত হলো, ইরান যেন ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সম্পূর্ণ বন্ধ করে, যা ইরান প্রত্যাখ্যান করে আসছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ ফক্স নিউজকে বলেন, ‘ইরানিদের সঙ্গে বসে একটি পূর্ণাঙ্গ শান্তিচুক্তি করার সময় এসেছে।’