মোহাম্মদ সোহেল:
চট্টগ্রামের অন্যতম জনপ্রিয় বিনোদন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত ফয়েজ লেক এলাকা বর্তমানে নানা বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে। এলাকাটিতে গড়ে ওঠা বিভিন্ন গেস্ট হাউস, আবাসিক হোটেল এবং রেস্টুরেন্টে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দাদের অভিযোগ, পর্যটনের আড়ালে এই এলাকায় রাতের অন্ধকারে চলছে অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও দেহ ব্যবসা, যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
ফয়েজ লেকের আশপাশে ঘুরে দেখা যায়, বেশ কিছু গেস্ট হাউস ও আবাসিক হোটেলে স্বল্প সময়ের জন্য ঘর ভাড়া দেওয়া হয়। এসব ঘরে পর্যটকের চেয়ে বেশি দেখা যায় অচেনা তরুণ-তরুণী ও সন্দেহজনক ব্যক্তিদের আনাগোনা। স্থানীয় এক দোকানদার নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “প্রতিদিন সন্ধ্যার পর এই এলাকায় ভিড় করে কিছু বিশেষ শ্রেণির লোক। গেস্ট হাউসগুলোতে ঘর ভাড়া নেওয়ার অজুহাতে ঢুকে পড়ে, কিন্তু অনেকের চালচলনে সন্দেহ থেকেই যায়।”
আরেকজন বাসিন্দা বলেন, “ফয়েজ লেক এখন আর আগের মতো নিরাপদ পর্যটন এলাকা নেই। সন্ধ্যার পর পরিবার নিয়ে ঘুরতে আসতেও ভয় লাগে। আমরা চাই প্রশাসন দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নিক।”
এই প্রসঙ্গে জানতে চাইলে খুলশী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আফতাব হোসেন বলেন,
“এ ধরনের কার্যকলাপের অভিযোগ কারও নজরে এলে আমাদের জানাতে অনুরোধ করছি। আমরা তাৎক্ষণিক আইনি ব্যবস্থা নেব। ফয়েজ লেক একটি পারিবারিক ও পর্যটন এলাকা। এখানে অসামাজিক কার্যকলাপ কোনোমতেই বরদাশত করা হবে না।”
তিনি আরও জানান, নিয়মিত টহল ও নজরদারির ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে এবং এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সতর্ক করা হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত নজরদারি এবং সুনির্দিষ্ট অভিযান পরিচালনা করলে এই অসামাজিক কার্যকলাপ রোধ করা সম্ভব। একই সঙ্গে হোটেল-মোটেল ব্যবসার নামে যারা গোপনে এসব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবিও জানান এলাকাবাসী।