হাসান আলী:
একাধিক সাধারণ মানুষ প্রতারণার শিকার হয়েছেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী নামের এক প্রতারকের হাতে। তার পিতার নাম আনু বেপারী এবং মাতার নাম পেয়ারা বেগম। দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিভিন্ন কৌশলে মানুষের বিশ্বাস অর্জন করে নানা ধরনের মিথ্যা ব্যবসার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগীরা জানান, শামীম কখনো নিজেকে একটি এসি, ফ্রিজ ও টিভির দোকানের মালিক বলে পরিচয় দেন, আবার কখনো দাবি করেন তার পরিবহন ব্যবসা রয়েছে এবং তার মালিকানায় ছোট-বড় ট্রাক রয়েছে। তিনি পুরাতন ট্রাক কেনাবেচার ব্যবসার কথা বললেও বাস্তবে তার কোনো বৈধ ব্যবসা নেই।
প্রথমে তিনি স্ট্যাম্পে চুক্তির মাধ্যমে কিছু টাকা ‘অ্যাডভান্স’ হিসেবে নেন এবং এরপর পুনরায় নানা অজুহাতে আরও টাকা দাবি করেন। কেউ যদি টাকাটি না দেন, তখন তিনি বিভিন্ন কৌশলে ভুক্তভোগীদের হয়রানি করতে থাকেন এবং টালবাহানা করে সময় কাটাতে থাকেন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, শামীম যে স্বাক্ষর বা কাগজপত্র ব্যবহার করেন, সেগুলো ভুয়া। এমনকি তার জাতীয় পরিচয়পত্র (ভোটার আইডি) সম্পর্কেও রয়েছে জালিয়াতির অভিযোগ। কেউ প্রতারিত হয়ে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে শামীম হুমকি দিয়ে বলেন, “সবই ভুয়া কাগজ, আমার কিছুই হবে না। প্রশাসনের লোকজন আমার সাথে আছে, কেউ আমার কিছু করতে পারবে না।”
স্থানীয়রা জানান, প্রতারক শামীম হোসেন পাটোয়ারীর বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আরও মানুষ তার প্রতারণার শিকার হবেন। ভুক্তভোগীরা সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও দুর্নীতি দমন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, যেন প্রতারকের ফাঁদ থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করা যায়।