স্টাফ রিপোর্টার:
ঢাকা বিভাগের সাভার বিআরটিএ অফিসে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে একাধারে মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত মোটরযান পরিদর্শক আওয়ামী দোসর আমিনুল ইসলাম খানকে কেন্দ্র করে। তিনি সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের দোসর ওবায়দুল কাদেরের পালক ছেলে শফিকের ঘনিষ্ঠ সহচর এবং বন্ধু। আওয়ামী দোসর আমিনুল ইসলাম খানের বিরুদ্ধে রয়েছে নানান ধরনের দুর্নীতি ও অবৈধ কর্মকাণ্ডের অভিযোগ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী দোসর আমিনুল ইসলাম খান তাঁর দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি বিস্তার করেছেন। সরকারি সাইনবোর্ডের আড়ালে থেকে তিনি ও তার সংশ্লিষ্টরা নিয়মিতভাবে ঘুষ গ্রহণ করে যাচ্ছেন।
অভিযোগ অনুযায়ী, সাভার বিআরটিএ অফিসে ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় পাস-ফেল নির্ধারণ ও ফিটনেস পরীক্ষায় অবৈধ অর্থ আদায় হচ্ছে। প্রতিটি গাড়ির ফিটনেসের জন্য ২ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেওয়া হয়। ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় পাসের জন্য ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেওয়া হয় বলে জানা গেছে। যারা টাকা দিতে অক্ষম তাদেরকে পাস-ফেল পরীক্ষায় বিভিন্ন কৌশলে হয়রানি করা হয়। এতে সাধারণ মানুষ অসহায় ও হতাশার মধ্যে পড়েছে।
আর এসব কিছুর মূল হোতা এই আওয়ামী দোসর আমিনুল ইসলাম খান। এ বিষয়ে এক ভুক্তভোগী বলেন, “আমি ঘুষ না দেওয়ায় আমাকে আমার লাইসেন্স পরীক্ষায় ফেল দেখানো হয়। অথচ আমার সাথে থাকা একজন ঘুষ দেওয়ায় নামমাত্র পরীক্ষা দিয়েও পাশ হয়ে যান।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আওয়ামী দোসর আমিনুল ইসলাম খানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি হুংকার দিয়ে বলেন, “আমি মন্ত্রীর লোক। আমার বিরুদ্ধে পত্রিকায় লিখলে কোনো লাভ নেই, কারণ আমি কার লোক সেটা সবাই ভালো করে জানে। তাই বেশি বাড়াবাড়ি করলে ক্ষতি আপনাদেরই। আপনাদের মতো অনেক সাংবাদিকই আসে ভয় দেখাতে, কিন্তু লাভ নেই কোনো।”
এ বিষয়ে একাধিক ভুক্তভোগী বলেন, “দুদকের চৌকস টিম যদি এই আওয়ামী দোসর আমিনুল ইসলাম খানের দুর্নীতির ব্যাপারে তদন্ত করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে থাকা নানা গোপন তথ্য ও অবৈধ সম্পদের সত্য প্রকাশ পাবে।”
সূত্রে জানা যায়, দুর্নীতির মাধ্যমে তিনি ঢাকা শহরের নামিদামী এলাকায় বহু ফ্ল্যাট ও গাড়ির মালিক হয়েছেন। এছাড়া নামে-বেনামে তার ব্যাংক হিসাবেও রয়েছে বড় অঙ্কের কালো টাকা। এই দুর্নীতির খপ্পরে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
দুর্নীতিবাজ এই কর্মকর্তা ও তার দালালদের কারণে বিআরটিএ’র সেবা গুণগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থানীয় ও সচেতন মহল দ্রুত দুর্নীতির অনুসন্ধান চালিয়ে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।