গত ২২ জুন ২০২৫ ইং, রোববার “রাজধানীতে অন্বেষা কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকা কর ফাঁকির অভিযোগ, তদন্তে দুদক” শিরোনামে দৈনিক আজকালের সংবাদ পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। উক্ত সংবাদটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমি, মোঃ পনির আহমেদ, মিডিয়া সেলের সদস্য, উক্ত প্রতিবেদনের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
রাজধানীতে একাধিক ভুয়া সংবাদকর্মী আমাদের প্রতিষ্ঠানের কাছে দীর্ঘদিন যাবৎ চাঁদা দাবি করে আসছে। আমরা চাঁদা না দেওয়ায় ওই কথিত সংবাদকর্মীগণ আমাদের ভয় দেখিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এ মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই সংবাদকর্মী দুদকে অভিযোগ দিয়ে সেই অভিযোগের কপি আমাদের প্রতিষ্ঠানের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে পাঠিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করেন। অতঃপর চাঁদা না দিলে হুমকি দেন যে, তিনি বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করবেন।
আমাদের কথা হলো, দুদকে অভিযোগ দিয়েছে যেহেতু—দুদক তদন্ত করবে। আমাদের কোম্পানি কোনো রকমের অন্যায়ের সঙ্গে জড়িত নয়। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলছি, কিছু কিছু পত্রিকা ও তাদের কিছু সংবাদকর্মী আছেন যাদের নেই কোনো বেতন বা বোনাস—তাদের সংসার চলে শুধুমাত্র চাঁদাবাজির টাকায়। একটি পত্রিকা অফিস থেকে একটি প্রেস কার্ড কিনে এনে হয়ে যান “মস্ত বড় সাংবাদিক”, যা কোনো মতেই কাম্য নয়। বিষয়টি প্রথম সারির পত্রিকা ও সংবাদকর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
রাজধানীর যাত্রাবাড়িস্থ অন্বেষা কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি তো দূরের কথা, আমরা ১ পয়সাও রাজস্ব ফাঁকি দিইনি। আমাদের কোম্পানির সব ভবনের সরকারি বৈধ অনুমোদন রয়েছে।
দৈনিক আজকালের সংবাদ পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন যাবৎ শিশুশ্রম, অবৈধ গ্যাস সংযোগ ব্যবহার এবং অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার ঘাটতিতে ভুগছে—যা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমাদের প্রতিষ্ঠানে কোনো শিশুশ্রমিক নেই, অবৈধ গ্যাস সংযোগ নেই এবং অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থারও কোনো ঘাটতি নেই।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বহুতল ভবনে বাহির হওয়ার একটিমাত্র রাস্তা, রাতে উৎপাদিত পণ্য গোপনে সরবরাহ, গুদাম ব্যবস্থাপনার ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থান এবং বিস্ফোরক অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না নিয়ে সরকারি রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সম্পদ অর্জন করা হয়েছে—যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও মনগড়া তথ্য।
আমাদের ভবনে বাহির হওয়ার রাস্তা একটির বেশি, এবং আমরা কোনো পণ্য গোপনে সরবরাহ করি না।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটির উদ্যোক্তা নাজমা পারভীন ও তার বড় ছেলে বিপ্লব এই ব্যবসা পরিচালনা করছেন এবং তারা বাগেরহাটের সাবেক এমপি শেখ তন্ময় এবং দিল্লির সাবেক প্রেস সচিব সাবান মাহমুদের ছত্রচ্ছায়ায় এক যুগেরও বেশি সময় ধরে অনিয়ম করে আসছেন। আমরা স্পষ্টভাবে জানাচ্ছি—আওয়ামী দোসর শেখ তন্ময় এবং সাবান মাহমুদের সঙ্গে আমাদের কোনো সম্পর্ক নেই, বরং ফ্যাসিস্ট আমলে আমরা তাদের দ্বারা নানাবিধ নির্যাতনের শিকার হয়েছি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কর ফাঁকি দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি রাজধানীর ধনিয়া, শনিরআখড়া, রায়েরবাগ, পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকায় ৯টি বহুতল ভবন নির্মাণ করেছে এবং নারায়ণগঞ্জে বিপুল পরিমাণ জমি কিনেছে। এটিও সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য।
আমি আশা করি—একজন সংবাদকর্মী জাতির বিবেক। শুধু মাত্র টাকার জন্য একটি বড় প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে মানহানি করা একেবারেই অনুচিত।
ভবিষ্যতে এই ধরনের মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ প্রকাশ করা হলে দুদকসহ প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নিবেদক,
মোঃ পনির আহমেদ
সদস্য, মিডিয়া সেল
অন্বেষা কর্পোরেশন