কামরুল ইসলাম:
চট্টগ্রাম জেলার আওতাধীন বৃহৎ থানা এলাকাগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো পটিয়া থানা। এই থানার মধ্য দিয়েই অতিক্রম করেছে গুরুত্বপূর্ণ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক, যার কারণে প্রতিদিনই প্রচুর যানবাহন চলাচল করে। ফলে সড়কে যানজট ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে এ সব চ্যালেঞ্জ সফলভাবে মোকাবিলা করছেন পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জায়েদ নুর।
ওসি জায়েদ নুরের দিকনির্দেশনায় থানা পুলিশ ও ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশেষ করে সাম্প্রতিক ঈদুল আজহার কোরবানির সময় পটিয়ার বিভিন্ন পশুর হাটকে যানজট ও চাঁদাবাজি মুক্ত রাখতে তিনি সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও গাড়িচালকদের মতে, এ বছর পশুর হাটগুলোতে ছিল নজিরবিহীন শৃঙ্খলা। ইজারাদারদের সঙ্গে সমন্বয় করে ওসি জায়েদ নুর হাটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন এবং যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিরোধে প্রস্তুত ছিলেন।
এই সময়টিতে অবৈধ তিন চাকার যানবাহন ও সিএনজিগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে মহাসড়ককে যানজট ও দুর্ঘটনা মুক্ত রাখার চেষ্টা চালিয়েছেন ওসি জায়েদ নুর ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টি আই) মোঃ ফারুক। মাইকিং ও সচেতনতামূলক প্রচার চালিয়ে সাধারণ মানুষকে হাটে নিরাপদে পশু পরিবহনে উৎসাহিত করা হয়েছে।
ওসি জায়েদ নুর শুধু কোরবানির সময়ই নয়, বরাবরই পটিয়া এলাকায় মাদক, সন্ত্রাস ও কিশোর গ্যাং দমনে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। তার নেতৃত্বে পটিয়া থানা এখন অনেকটাই অপরাধমুক্ত, যা স্থানীয়দের নিরাপত্তা নিয়ে আস্থা বৃদ্ধি করেছে।
পটিয়া থানার আওতাধীন যে কোন এলাকায় সমস্যা হলে সরাসরি যোগাযোগ করার আহ্বান জানিয়েছেন ওসি জায়েদ নুর। একজন চৌকস ও সাহসী পুলিশ অফিসার হিসেবে তিনি কেবল নিজের নয়, পুরো বাংলাদেশ পুলিশের সুনাম বয়ে আনছেন।
স্থানীয়রা জানান, এবারের কোরবানির হাট ছিল নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল। ক্রেতা-বিক্রেতারা নিশ্চিন্তে গবাদিপশু কেনাবেচা করেছেন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। জনগণের মুখে হাসি ফোটাতে এমনই একজন দক্ষ ও নিবেদিতপ্রাণ পুলিশ কর্মকর্তার প্রয়োজন — আর ওসি জায়েদ নুর ঠিক তেমনই একজন।