স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক:
‘জুলাই অভ্যুত্থান স্মরণ’ কর্মসূচির প্রশংসা করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কৃতি উপদেষ্টা, বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি বলেছেন, “আমরা এক থাকলে আমাদের সামনে কিছুই টিকতে পারবে না।” একই সঙ্গে তিনি বিএনপি’র চিন্তাশীল নেতৃত্বের উদ্যোগের প্রশংসা করে জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক আবেগঘন পোস্টে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এসব মন্তব্য করেন। তিনি লেখেন, “শহীদ মিনারে গতরাতের আয়োজনের মাধ্যমে ‘জুলাই স্মরণ’ কর্মসূচি যেভাবে শুরু হয়েছে, তা ছিল অত্যন্ত উচ্চমানের ও প্রেরণাদায়ক।”
বিএনপিকে অভিনন্দন
পোস্টে বিএনপি’র নেতৃত্বাধীন চিন্তাশীল মহলের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, “বিএনপির চিন্তাশীল নেতারা গতরাতে শহীদ মিনারে যে অনন্য উদ্যোগ নিয়েছেন, তার জন্য তারা একটি বড় অভিবাদন প্রাপ্য। আমি নিশ্চিত, অন্য অংশীদাররাও তাদের নিজ নিজ কর্মপরিকল্পনা ঠিক করে ফেলেছেন। এই জুলাইয়ের স্মৃতি যেন আমাদের পথ দেখায় এবং গত জুলাইয়ের মতোই সবাইকে একত্রিত করে।”
জাতীয় স্মরণপঞ্জি শুরু
ফারুকী তাঁর পোস্টে ঘোষণা দেন, ১ জুলাই থেকেই ‘জাতীয় স্মরণপঞ্জি’ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এই দিনটির গুরুত্ব শুধু রাজনৈতিক নয়, সাংস্কৃতিক এবং মানসিক জাগরণের দিন হিসেবেও স্মরণীয়। তাই তিনি আহ্বান জানান, শুধু জাতীয় কর্মসূচিতেই নয়, বরং স্থানীয় ও বিকেন্দ্রীকৃত অংশীদারদের উদ্যোগেও সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য।”
তিনি বলেন, “এই আন্দোলন ও স্মরণ শুধু একটি রাজনীতি বা একটি শ্রেণির বিষয় নয়— এটি একটি জাতিগত পুনর্জাগরণের বিষয়।”
সংগীত ও সংস্কৃতির ভূমিকায় দৃষ্টি
সংস্কৃতি উপদেষ্টা ফারুকী তার পোস্টে বিশেষভাবে সংগীতের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি লেখেন, “ধন্যবাদ দ্য রেড জুলাইকে, আমাদের প্রিয় ‘জুলাই গানটি’ ভিডিওতে ব্যবহারের জন্য। গত জুলাইয়ে এই গানটি এক নতুন তাৎপর্য পেয়েছে। বিশেষ করে অর্ক মুখার্জীর গাওয়া সংস্করণটি একেবারেই অসাধারণ ও হৃদয়স্পর্শী।”
সংগীত ও শিল্পকে ‘আন্দোলনের প্রাণ’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, “শুধু স্লোগানে নয়, শিল্পে, গানে, নাটকে, কবিতায় এই স্মরণ চলুক— যাতে ইতিহাস শুধু মুখস্থ নয়, অনুভবের বিষয় হয়ে ওঠে।”
ঐক্যের আহ্বান
তার স্ট্যাটাসের শেষাংশে তিনি আবারও সকল অংশীদারকে আহ্বান জানান একসাথে পথচলার জন্য। তিনি বলেন, “আমরা এক থাকলে আমাদের সামনে কিছুই টিকতে পারবে না। এই স্মৃতি যেন কেবল অতীত না হয়, বরং ভবিষ্যতের জন্য আলোকবর্তিকা হয়ে ওঠে।”
উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাইয়ে ছাত্র ও জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশে এক ঐতিহাসিক রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটে। এ স্মৃতিকে কেন্দ্র করেই জুলাই মাসজুড়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে আসছে।