তারিকুল ইসলাম:
দীর্ঘ ১৭ বছর যাবৎ জেল-জুলুম, হামলা-মামলার শিকার বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। এমন কোনো নেতাকর্মী নেই, যাদের নামে মামলা নেই। শত অত্যাচার ও জুলুমের পরেও কেউ দল ছাড়েনি। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার বিএনপিকে ভেঙে টুকরো টুকরো করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু শহীদ জিয়ার সৈনিকদের তারা কিনতে পারেনি, ভাঙতেও পারেনি এই জাতীয়তাবাদী দলকে। এত অত্যাচার, এত অনিয়ম, এত ত্যাগ—এসব এত দ্রুত ভুলে যাবে বিএনপি, একথা ভাবতেই কষ্ট লাগে।
দেশের আনাচে-কানাচে আওয়ামী দোসররা কালো টাকার বিনিময়ে বিএনপি নেতা সাজার চেষ্টা চালাচ্ছে। কতিপয় বিএনপির নেতাও মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে আওয়ামী দোসরদের দলীয় পরিচয় দেওয়ার প্রবণতায় লিপ্ত হচ্ছেন—যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। এরকমই একজন ভুঁইফোড় আওয়ামী দোসর, ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার আসামি, নিজেকে বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচয় দিচ্ছেন। তার নাম জিসান।
যাত্রাবাড়ীর একটি ছয়তলা ভবনের মালিক শাহ জাহান মিয়া ও তার পুত্র করতেন আওয়ামী লীগ। বিভিন্ন মিটিং-মিছিলে সবার আগে দাঁড়াতেন পিতা ও পুত্র। লাঠি হাতে পাহারা দিতেন আওয়ামী নেতাকর্মীদের। অথচ এই পিতা-পুত্র এখন বনে গেছেন বিএনপি নেতা!
জানা যায়, জিসানের নামে যাত্রাবাড়ী থানায় ছাত্র-জনতা হত্যার একাধিক মামলা রয়েছে। ছয়তলা ভবনের ছাদে চালাচ্ছেন জুয়ার ব্যবসা, করছেন মাদক বাণিজ্য। এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী এলাকার সাধারণ মানুষ হাসাহাসি করছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক বিএনপির নেতাকর্মী বলেন, “আওয়ামী দোসররা এত তাড়াতাড়ি রঙ পাল্টে বিএনপি নেতা হয়ে গেল কীভাবে? কারা মদদ দিচ্ছেন আওয়ামী দোসর মাদক ব্যবসায়ী জিসানকে?”
জিসানের সুদের ব্যবসার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব হয়েছেন অনেক সাধারণ মানুষ।
এ বিষয়ে জিসান বলেন, “আমি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে কখনও জড়িত ছিলাম না, সব সময় আমি বিএনপিই করে এসেছি। আমার ওপর আনা প্রতিটি অভিযোগ মিথ্যা।”
বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ডিসি ওয়ারীকে অনুরোধ জানিয়েছেন জুলাই জোদ্ধারা।