সুমন খান:
বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক বলেছেন, বিএনপি মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে চায়, মাদকমুক্ত প্রতিটি এলাকা গড়তে চায় এবং পুরো বাংলাদেশকে মাদকমুক্ত রাখতে চায়।
গতকাল ২ জুলাই ২০২৫ ইং, বুধবার মিরপুর শাহ আলী থানার শেখ রাসেল পার্ক মাঠে বিশাল এক কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সভায় বিএনপির সদস্য ফরম নবায়ন ও পূরণের কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়। বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত সদস্য ফরম বিতরণ ও নবায়ন কর্মসূচির দুটি পৃথক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আমিনুল হক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আমাদের অনেক সন্তান, তরুণ প্রজন্ম এবং যুবসমাজ মাদকের করাল গ্রাসে অকাল মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। তাই আমরা চাই মাদক নিয়ন্ত্রণে এনে জনগণকে সচেতন করতে। প্রতিটি পরিবার, প্রতিবেশী ও নাগরিককে সঙ্গে নিয়ে মাদকবিরোধী অভিযান চালানো হবে।”
বর্তমানে দেশে প্রায় ৮৩ লাখ তরুণ মাদকের ভয়াবহ ছোবলে আক্রান্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিএনপি মাদকসেবীদের প্রথমে সতর্ক করে সচেতন করতে চায়। এরপরও যদি তারা সংশোধন না হয়, তবে আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে।”
চাঁদাবাজি ও দখলবাজির বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান জানিয়ে আমিনুল হক বলেন, “বিএনপি কখনো চাঁদাবাজ, দখলবাজ বা মব সৃষ্টিকারীদের সমর্থন করে না। বর্তমানে যারা দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দলীয়করণ করছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করছে, তারা পতিত আওয়ামী লীগ। বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় গেলে এসব স্বৈরাচারী আচরণের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেবে।”
নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিয়ে তিনি অভিযোগ করেন, “আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচন বানচালের জন্য নতুন ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। তবে বিএনপি নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধ, সহনশীল ও ধৈর্যশীল থাকলে এসব ষড়যন্ত্র সফল হবে না।”
নেতাকর্মীদের আত্মত্যাগ স্মরণ করে আমিনুল হক বলেন, “গত ১৭ বছর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে অনেক নেতাকর্মী গুম-খুনের শিকার হয়েছেন। ‘জুলাই গণআন্দোলনে’ আমাদের দলের বহু নেতাকর্মী, ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ শহীদ হয়েছেন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে প্রতিটি হত্যার বিচার করা হবে।”
দলের সদস্য ফরম নবায়নে সতর্কতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, “তৃণমূলের পরীক্ষিত, জিয়া পরিবারের আস্থাভাজন ও নিবেদিত নেতাকর্মীদের সদস্য পদ নবায়ন করবো। কিন্তু যারা গত ১৭ বছর ধরে সুবিধাবাদী আচরণ করে রাতের আঁধারে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ব্যবসা করেছেন, তাদের সদস্য পদ নবায়ন করা হবে না।”
প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন:
-
হাজী মোস্তফা জামান, সদস্য সচিব, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন:
-
ঢাকা-১৮ আসনের মাটি ও মানুষের নেতা, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, সাবেক ছাত্র ও যুব নেতা এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন।
বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন:
-
ফেরদৌসি আহমেদ মিষ্টি, যুগ্ম আহ্বায়ক, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।
আরও উপস্থিত ছিলেন:
এবিএমএ রাজ্জাক, গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ, হুমায়ুন কবির রওশন, আবুল হোসেন আব্দুল, হাফিজুল হাসান শুভ্র, শামিম পারভেজ, আশরাফুজ্জাহান, এফএম খালেদ—এরা সবাই ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
সভাপতিত্ব করেন:
এস এম কায়সার পাপ্পু, আহ্বায়ক, শাহ আলী থানা বিএনপি, ঢাকা মহানগর উত্তর।
বিশেষ সঞ্চালনায় ছিলেন:
সোলায়মান দেওয়ান, যুগ্ম আহ্বায়ক, শাহ আলী থানা বিএনপি, ঢাকা মহানগর উত্তর।
উপস্থিত ছিলেন আরও অনেকে, যেমন:
সৈয়দ মাহমুদ জাহিদুর ইসলাম (সাবেক যুবদল সভাপতি), মামুন শরীফ খান (সাবেক ছাত্র মিলনায়তন সম্পাদক, সরকারি বাংলা কলেজ), হাফেজ সাইফুল রহমান লিটন (৮ নং ওয়ার্ড সভাপতি), আফসার খান সেলিম (৯৩ ওয়ার্ড সভাপতি), এস কে আব্দুর রাকিব বাপ্পা, শেখ সাদী বাবু, কবির হোসেন, মো. কামাল হোসেন, কাজী শরীফ নেওয়াজ লালন, রিংকু ইসলাম, রাজু, সোহেল, করিম, হাসান প্রমুখ।