স্টাফ রিপোর্টার:
গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, “জুলাইকে সত্য ও সততার ওপর বাঁচিয়ে রাখতে হবে। মিথ্যা ও একপাক্ষিক ইতিহাস জুলাইয়ের শক্তিকে বিভক্ত করবে।”
বুধবার (২ জুলাই) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, “জুলাই সনদ” নিয়ে এখন বিভিন্ন মহলে আলোচনা চলছে, যা একটি ইতিবাচক দিক। তবে তিনি অভিযোগ করেন, উপদেষ্টাদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে যে খসড়া “জুলাই সনদ” দেওয়া হয়েছে, সেখানে ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন’-এর নাম পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়নি।
তিনি বলেন, “ইতিহাসকে নিজেদের মতো করে তৈরি করার একটি প্রচেষ্টা সেখানে ছিল, যা মূলত প্রতারণা এবং ইতিহাস বিকৃতির শামিল। জুলাই সনদে ধারাবাহিক সংগ্রামের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরতে হবে।”
রাশেদ খান বলেন, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে শুরু করে ২০২৪ সালে আবার ৩০ শতাংশ কোটা ফিরিয়ে আনার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে যে নতুন আন্দোলন গড়ে ওঠে, সেটিই ছিল জুলাই বিপ্লবের মূল প্রেক্ষাপট। সেই সময়কার হাসিনা সরকারের নির্দেশে পুলিশের গুলিতে বহু মানুষ নিহত হন। হত্যার প্রতিবাদেই রাজপথে গণঅভ্যুত্থান গড়ে ওঠে বলে তিনি দাবি করেন।
তিনি আরও বলেন, “জুলাই হলো একটি ঐতিহাসিক রাজনৈতিক মুক্তি আন্দোলনের শেষ পরিণতি, যেখানে বছরের পর বছর ধরে চলা হাসিনার ফ্যাসিস্ট শাসনের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা প্রতিরোধ গড়ে তোলে।”
রাশেদ খান তার পোস্টে আহ্বান জানান— ইতিহাস যেন কোনো পক্ষের সুবিধামতো বিকৃত না হয়। তিনি বলেন, “এই জুলাইকে সত্য ও সততার ভিত্তিতে টিকিয়ে রাখতে হবে। ইতিহাস বিকৃতি কিংবা ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন’ উপেক্ষা করলে তা আন্দোলনের আত্মাকে হত্যা করার শামিল হবে।”
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক উত্তাল পরিস্থিতিতে “জুলাই বিপ্লব” ও “জুলাই সনদ” নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে মতপার্থক্য দেখা দিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটেই রাশেদ খানের এই মন্তব্য নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।