স্বাধীন আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরায়েলের দখলদার শাসনব্যবস্থা ও প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর মৃত্যু অনিবার্য—এমন মন্তব্য করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়েদ আলী খামেনির শীর্ষ সামরিক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল ইয়াহিয়া রহিম সাফাভি।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, শত্রুরা যদি আরেকবার কোনো ভুল করে, তাহলে তাদের সব স্বার্থ ও সামরিক ঘাঁটি আরও বড় বিপদের মুখে পড়বে। ইরান সবসময় প্রস্তুত এবং প্রতিক্রিয়া আরও কঠিন হবে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) ইরানি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজ এক প্রতিবেদনে জানায়, সোমবার তেহরানে আয়োজিত শহীদ ইরানি সশস্ত্র বাহিনীর চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ হোসেইন বাকেরির স্মরণসভায় এসব কথা বলেন জেনারেল সাফাভি।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসন তাদের লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। বরং এটি ইসরায়েলি শাসনের পতনকে ত্বরান্বিত করেছে।
“জায়নবাদী শাসনব্যবস্থা এবং নেতানিয়াহুর পতন এখন সময়ের ব্যাপার,” — মন্তব্য করেন জেনারেল সাফাভি।
তিনি আরও বলেন, শত্রুর অনুরোধে সাময়িক যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হলেও ইরান শত্রুদের ঘাঁটি, কাঠামো, স্বার্থ ও সেনা মোতায়েন সংক্রান্ত সব তথ্য সম্পর্কে অবগত রয়েছে।
ইরানের পাল্টা হামলার হুঁশিয়ারি
জেনারেল সাফাভি বলেন, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (IRGC)-এর সক্ষমতা এখন মধ্যপ্রাচ্যের গণ্ডি ছাড়িয়ে গেছে। ইরানের হাজার হাজার ক্ষেপণাস্ত্র টার্গেট ডাটাব্যাংকে শত্রুদের প্রতিটি ঘাঁটি রয়েছে।
“যদি শত্রুরা আবার কোনো ভুল করে বা হিসাবের ভুল করে, তাহলে তাদের স্বার্থ ও ঘাঁটিগুলো আরও বড় হুমকির মুখে পড়বে,”— বলেন তিনি।
ইসরায়েল-ইরান সাম্প্রতিক সংঘাত
প্রসঙ্গত, ১৩ জুন বিনা উসকানিতে ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক, সামরিক ও আবাসিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালায়। এতে শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা, পারমাণবিক বিজ্ঞানীসহ ৯৩০ জনের বেশি মানুষ শহীদ হন।
এর পাল্টা জবাবে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর এরোস্পেস ফোর্স “অপারেশন ট্রু প্রমিজ থ্রি” চালায়। এতে ইসরায়েলের দখলকৃত ভূখণ্ডে ২২ দফা ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়, যার ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
শেষ পর্যন্ত ২৪ জুন থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও, পরিস্থিতি অত্যন্ত উত্তপ্ত ও অনিশ্চিত অবস্থায় রয়েছে।