মামলা মীমাংসার পরও থামেনি নির্যাতন, ফের বিচার চান নেত্রকোনার মারুফা আক্তার

নাছিমা খাতুন সুলতানা: 

নেত্রকোনা সদর উপজেলার ৯নং চল্লিশা ইউনিয়নের সাকুয়া গ্রামের মৃত রুমালী শেখের মেয়ে মারুফা আক্তার বিয়ের পর থেকে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার বলে অভিযোগ করেছেন। মামলার মীমাংসার পরও থামেনি এই নির্যাতন। ভুক্তভোগী পরিবার আবারও আইনি সহায়তা নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

জানা যায়, ২০১৮ সালের ১০ আগস্ট মারুফার সঙ্গে একই উপজেলার মৌগাতি ইউনিয়নের হাইস্কা (দূসাপুর) গ্রামের মোঃ জাবেদ আলীর ছেলে মোঃ রতন মিয়ার বিয়ে হয়। প্রথমদিকে প্রায় তিন বছর সংসার ভালোই চলছিল। কিন্তু পরবর্তীতে স্বামীর পরিবারের সদস্যদের প্ররোচনায় মারুফার কাছে ২ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করা হয়। বিষয়টি মারুফা তার পরিবারকে জানালে, মেয়ের সুখের কথা ভেবে তারা দাবিকৃত টাকা ও অন্যান্য মালামাল প্রদান করেন।

দাম্পত্য জীবনে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেওয়ার পর থেকে মারুফার ওপর শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। বিষয়টি নিয়ে দুইবার গ্রাম্য সালিশ হলেও কোনো সমাধান হয়নি। পরে মারুফা নেত্রকোনা কোর্টে ও ব্র্যাকে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর রতন মিয়া কারাগারে আটক হন।

পরবর্তীতে আসামিপক্ষ বিভিন্ন প্রভাবশালীর সুপারিশে মীমাংসার মাধ্যমে রতন মিয়াকে মুক্ত করে আনেন। কিছুদিন সংসার ভালোভাবে চললেও এরপর আবারো শুরু হয় আগের মতো নির্যাতন। মারুফাকে চুলের মুঠি ধরে মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়।

এছাড়া মারুফার ভাইয়ের জমি সংক্রান্ত বিষয়ে স্বামী রতন ও তার পরিবার টাকা আটকে রাখে এবং নানাভাবে বাধা সৃষ্টি করে। বর্তমানে মারুফা আক্তার আবারও আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেছেন।

মারুফা ও তার পরিবার আশঙ্কা করছেন, পরিস্থিতি অনুকূলে না এলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *