আব্দুর রশিদ, সাতক্ষীরা:
স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের চেতনা অবিস্মরণীয়। এই আন্দোলনই বাঙালি জাতিকে স্বাধিকারের মন্ত্রে দীক্ষিত করেছিল। কিন্তু তৎকালীন একটি রাজনৈতিক দল, যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অবস্থান নেয়নি, তাদের নেতাকর্মীদের একটি অংশ ভাষা আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিল। তাদের সহানুভূতি ছিল মুসলিম লীগ ও পাকিস্তান সরকারের প্রতি এবং তারা উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছিল।
১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে সেই একই রাজনৈতিক দল পাকিস্তানের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতোই বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে। ২৪ বছর ধরে চলা পাকিস্তানি শাসনামলে তারা পাকিস্তানি শাসকদের সহযোগী হিসেবে কাজ করে।
স্বাধীন বাংলাদেশে ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ১৭ বছরের শাসনকালে জনগণ প্রত্যক্ষ করেছে নিপীড়ন ও নির্যাতনের এক নির্মম ইতিহাস। এই সময়ে আওয়ামী লীগ পাকিস্তানি শাসকদের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে এবং জাতীয় পার্টি তাদের ছায়া হিসেবে কাজ করেছে। দেশের স্বাধীনচেতা জনতাকে এ সময় নানা রকম নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হতে হয়েছে।
অতএব, হে বাংলার জনতা—স্বৈরাচারের পতনের পর আপনার প্রথম ভোট হোক দেশের পক্ষে, জনতার পক্ষে, স্বাধীনতার পক্ষে; ভারত কিংবা পাকিস্তানের পক্ষে নয়।
তরুণ প্রজন্মের প্রথম ভোট হোক একটি স্বাধীন, গণতান্ত্রিক ও সার্বভৌম বাংলাদেশের পক্ষে।
ধানের শীষ প্রতীকে হোক আপনার এই মূল্যবান ভোট।
মোল্লা মুহাম্মদ শাহাজুদ্দীন
সাধারণ সম্পাদক, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ ছাত্রদল
সাতক্ষীরার অন্যতম ‘জুলাই যোদ্ধা’