যাত্রাবাড়ীতে রাজউকের নিয়ম না মেনে ভবন নির্মাণ, এলাকাবাসীর নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা

স্টাফ রিপোর্টার:

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) অঞ্চল-১০ এর আওতাধীন ৬১ নম্বর ওয়ার্ডের দনিয়া এলাকার কবিরাজবাগে একটি বহুতল ভবন রাজউকের অনুমোদিত নকশা উপেক্ষা করে নির্মাণ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ৬৬৯ নম্বর হোল্ডিংয়ে ‘মিনা ডেভেলপারস লিমিটেড’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান ভবনটি নির্মাণ করছে। ভবনটির চারপাশে কোনো ধরনের জায়গা না রেখেই নির্মাণ কাজ চালানো হচ্ছে, যা রাজউকের নিয়মবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস্ এন্ড প্রেস সোসাইটির যুগ্ম সম্পাদক, রাজউক চেয়ারম্যান বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন। অভিযোগে তিনি বলেন,  ভবনটি রাজউকের নকশা অনুযায়ী নির্মিত হচ্ছে না। ওই ভবনের চারপাশে নির্ধারিত ৫-৬ ফুট খোলা জায়গা রাখার কথা থাকলেও, কোনো জায়গা ছাড়া ভবনটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে পাশের বাড়িগুলোর বাসিন্দারা চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন।”

স্থানীয় আরও কয়েকজন প্রতিবেশী – সাইদ লেখ, আবদুল্লাহ, ফরহাদ হোসেন এবং মোঃ মফিজ – অভিযোগের সঙ্গে স্বাক্ষর করে জানান, তারা সকলেই নিজেদের ভবন নির্মাণের সময় নিয়ম অনুযায়ী খোলা জায়গা রেখেছেন। কিন্তু উল্লিখিত ভবন নির্মাণে সে নিয়ম মানা হচ্ছে না।

নির্মাণে অনিয়ম ও ভবিষ্যৎ বিপদের শঙ্কা

অভিযোগকারীরা আশঙ্কা করছেন, ভবনটির পাশবর্তী খোলা জায়গা না থাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অগ্নিকাণ্ড বা জরুরি প্রয়োজনে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ব্যাহত হতে পারে। এছাড়া এই অনিয়মের ফলে ভবিষ্যতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কাও করছেন তাঁরা।

অভিযোগপত্রে ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর উল্লেখ করে বলা হয়, “আমেনা ড্রিম পার্ক, বাড়ি # ৭-৮, লেভেল-৯, ব্লক # এ, মেইন রোড, বনশ্রী, রামপুরা, ঢাকা, মোবাইল: ০১৯৯৯-৬৬০০০০, ০১৮৫৯-০০০০৫৯ – এই ঠিকানায় অবস্থিত মিনা ডেভেলপারস লিমিটেড রাজউকের নির্দেশনা উপেক্ষা করে নির্মাণ চালিয়ে যাচ্ছে।”

রাজউক ও ডিএসসিসির জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা

এলাকাবাসীরা রাজউক এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন, অবিলম্বে উক্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ করে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। তারা বলেছেন, “ভবিষ্যতে যদি কোনো দুর্ঘটনা ঘটে, তার সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং ডেভেলপার কোম্পানির।”

বিষয়ে তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হলে বিষয়টি নিয়ে মানববন্ধন ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান স্থানীয়রা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *