স্বাধীন আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজ জানিয়েছেন, গাজার সম্পূর্ণ জনগণকে রাফাহ শহরের ধ্বংসস্তূপের উপর নির্মিত একটি ‘মানবিক শহরে’ স্থানান্তরের জন্য ইসরাইলি সেনাবাহিনীকে প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (৮ জুলাই) ইসরাইলি গণমাধ্যমে এ তথ্য প্রকাশিত হয় এবং বুধবার (৯ জুলাই) এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ জানান, প্রথম পর্যায়ে আল-মাওয়াসি এলাকা থেকে বিতাড়িত প্রায় ৬ লাখ ফিলিস্তিনিকে ওই শিবিরে স্থানান্তর করা হবে। পরবর্তীতে পুরো গাজার ২১ লাখ জনগণকেই সেখানে সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।
তিনি বলেন,
“শিবিরে প্রবেশের আগে প্রতিটি ফিলিস্তিনিকে স্ক্যানের মধ্য দিয়ে যেতে হবে, যাতে নিশ্চিত হওয়া যায় তারা হামাসের সদস্য নয়। একবার প্রবেশ করলে তাদের শিবির ত্যাগের অনুমতি থাকবে না।”
কাটজ আরও উল্লেখ করেন, গাজাবাসীদের অন্য দেশে অভিবাসনের পরিকল্পনাও চালু রয়েছে, যা প্রথম প্রস্তাব করেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন,
“আমি এই প্রস্তাব বাস্তবায়নের জন্যও প্রস্তুত।”
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছেন। সোমবার হোয়াইট হাউসে এক নৈশভোজে অংশ নিয়ে তিনি অভিবাসন পরিকল্পনায় সমর্থন জানান এবং বলেন,
“আমরা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি, এমন দেশগুলো খুঁজে বের করতে, যারা ফিলিস্তিনিদের জন্য ‘উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ’ দিতে চায়। আমরা ইতোমধ্যেই কয়েকটি দেশের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি।”
ইসরাইলি পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে হামাসের সঙ্গে ৬০ দিনের যুদ্ধবিরতির আলোচনার সময়কালেই এই ‘মানবিক শহর’ নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া
জাতিসংঘ এরইমধ্যে সতর্ক করে জানিয়েছে, “কোনো দখলীকৃত ভূখণ্ডের নাগরিকদের জোরপূর্বক স্থানান্তর বা বহিষ্কার আন্তর্জাতিক আইনে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।”
তবে এই বিষয়ে এখনো ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ বা হামাস কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি।