খসরু মৃধা:
গাজীপুর মহানগরীর পূবাইলে কথিত নামধারী ওসি কাজী শহিদুল্লাহ ও তার ভাই এবং তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখল ও বোন ভাগ্নিদের মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
১২ই জুলাই শনিবার সকালে জোরপূর্বক জমি দখল ও মারধরের ঘটনায় ৬জনের নাম উল্লেখ করে পূবাইল মেট্রোপলিটন থানায় একটি অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী সাফিয়া ও তার বোনের মেয়ে সনিয়া। অভিযুক্তরা হলেন— কাজী শহিদুল্লাহ ওরফে শহিদ ওসি, কাজী ওসমান উদ্দিন, কাজী শাহাবুদ্দিন, শিরিন বেগম, সালমা বেগম ও নাসরিন বেগম। তারা গাজীপুর মহানগরীর পূবাইল থানার ৪১ নং ওয়ার্ডের নয়ানী পাড়া এলাকায় বসবাস করে।
জনশ্রুতি রয়েছে, থানার সোর্স ও পুলিশদের সাথে সখ্যতা থাকায় স্থানীয়রা তাকে “ওসি” বলে সম্বোধন করে। এছাড়া, যেকোনো ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে সক্রিয় থাকার ফলে তার ভয়ে কেউ মুখ খুলেনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে নামধারী ওসি শহিদুল্লাহ তার ভাগ্নি সনিয়া ও তার আপন বোনদের ওয়ারিশ সূত্রে পাওয়া জমি জবরদখলের অপচেষ্টা করে আসছে। বোনেরা বাপের বাড়িতে বসবাস করাকালে প্রায়শই জোরপূর্বক জমি লিখে দিতে ওসি শহিদুল্লাহর নেতৃত্বে তার ভাই ও তাদের স্ত্রীরা মারধর করে, খোলা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিতে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও নির্যাতন করে।
অত্যাচার ও নির্যাতন সহ্য না করতে পেরে প্রাণভয়ে নামধারী ওসির বোনেরা জীবন রক্ষার্থে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন এবং তাদের দাবি, “আমাদের জমি লাগবে না, জীবনই যদি না থাকে জমি দিয়ে কী করব? আমাদের বাঁচান, আমরা যেন প্রাণ নিয়ে আমাদের আসবাবপত্র নিয়ে অন্যত্র চলে যেতে পারি। আপন ভাইদের অত্যাচার ও নিপীড়ন আর সহ্য করতে পারছি না।
তারা আমাদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেই চলেছে। আমরা কথিত নামধারী ওসি শহিদুল্লাহ ও তার সহযোগীদের সুষ্ঠু বিচারের দাবি করছি। বিগত অনেক বছর ধরে অদৃশ্য শক্তির কারণে তাদের আইনের আওতায় আনা যায়নি।”
পূবাইল থানা ওসি শেখ আমিরুল ইসলাম জানান, “অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অত্যাচারীদের রাজনৈতিক কোনো পরিচয় কাজে আসবে না।”