স্টাফ রিপোর্টার:
গতকাল ১৩ জুলাই ২০২৫ ইং, বিকেল আনুমানিক ৪টায় জলঢাকা উপজেলার ২ নম্বর ওয়ার্ড, মাথাভাঙ্গার শ্রী পল্লব কুমারের ছেলে পলাশ কুমার রায় তার মুসলিম বান্ধবী মোছা: রুম্মী আখতার (পিতা: এমদাদুল হক পলাশ, সাং: মাথাভাঙ্গা, জলঢাকা, নীলফামারী) এর সঙ্গে কুশলাদি বিনিময়ের সময়, স্থানীয় তিস্তা ক্যানেলপাড় থেকে দুজনকে “অবৈধ সম্পর্ক” সন্দেহে ধরে নিয়ে যায় দুর্ধর্ষ মিঠু বাহিনী।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পলাশের বাবা পল্লব কুমার জানান, মনিরুজ্জামান মিঠু ছেলে-মেয়েকে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে কিডন্যাপ করে অজানা স্থানে নিয়ে যায়। বিকাল থেকে ছেলে-মেয়েকে মুক্তি দেওয়ার শর্তে মিঠু নগদ টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আরও জানা যায়, সুদ ব্যবসায়ী মনিরুজ্জামান মিঠু জামায়াতের কর্মী। ঘটনা জানার পর ২ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি মাওলানা মোজাম্মেল হক ও সেক্রেটারি শাহিনুর রহমান শাহিন ঘটনাস্থলে গিয়েও তাদের উদ্ধার করতে ব্যর্থ হন।
জামায়াত নেতারা ঘটনাস্থলে গেলে মিঠুর প্রধান সহযোগী আতাউর রহমান বাদল কিছু টাকার বিনিময়ে মধ্যস্থতা করার চেষ্টা করেন, তবে মিঠু নগদ টাকা ছাড়া কাউকে ছাড়তে রাজি হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ৩ জুলাই জলঢাকা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের পাইপ লুট ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে মিঠু ও বাদল বাহিনী সরাসরি জড়িত ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে। এরপরও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
১৩ জুলাইয়ের ঘটনার বিষয়ে ছেলের পিতা পল্লব কুমার রাত আনুমানিক ২:৩০ মিনিটে জলঢাকা থানায় গিয়ে অভিযোগ করতে চাইলে তিনি বিভিন্ন কারণে অভিযোগ দায়ের করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন।
ভোর ৫টার দিকে মিঠু ৩০,০০০ টাকা আদায় করে ছেলেকে তার বাবার হাতে তুলে দিলেও মেয়েটিকে এখনো আটকে রাখা হয়েছে বলে জানা যায়।
প্রতিবেদক জানান, মিঠু ও বাদল বাহিনীর বিরুদ্ধে ৩ জুলাই সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে তারা বিভিন্ন সাংবাদিক ও সাধারণ মানুষকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রশাসন এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।