স্বাধীন আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাকিস্তানে চলমান মৌসুমি বৃষ্টি এবং এর ফলে সৃষ্ট আকস্মিক বন্যায় প্রাণহানি ঘটেছে অন্তত ১০৫ জনের। আহত হয়েছেন আরও ২১১ জন। গত ২৬ জুন থেকে ১৩ জুলাইয়ের মধ্যে এসব ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ)। খবর সামা টিভির।
এনডিএমএ’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, মৃতদের মধ্যে ৪৯ জন শিশু, ৩৮ জন পুরুষ ও ১৮ জন নারী রয়েছেন। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় খানেওয়াল জেলায় আরও একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে রয়েছে ৮১ জন পুরুষ, ৮২ জন শিশু ও ৪৮ জন নারী।
দুর্যোগ শুধু প্রাণহানিই ঘটায়নি, বরং অবকাঠামোতেও বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি ডেকে এনেছে। আকস্মিক বন্যা ও ভারী বৃষ্টির ফলে ১০ কিলোমিটারের বেশি সড়ক ও নয়টি সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ১৪৫টি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩১০টি বাড়ি।
সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে পাঞ্জাব প্রদেশ। প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (পিডিএমএ) জানিয়েছে, সেখানে মোট ৪৪ জনের মৃত্যু এবং ১৩৪ জন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া প্রদেশটিতে ৫০টি বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং ছয়টি গবাদি পশু মারা গেছে।
বৃষ্টিপাতে ভবন ধসে প্রাণ হারিয়েছেন ২৭ জন, বজ্রপাতে মৃত্যু হয়েছে পাঁচজনের, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন চারজন এবং বন্যা বা পানিতে ডুবে প্রাণ গেছে আটজনের।
পিডিএমএ’র মহাপরিচালক জানান, আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এছাড়া বর্ষাকালে জনসাধারণকে সতর্ক থাকার জন্য বিশেষ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
প্রচণ্ড বৃষ্টিপাত ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার প্রেক্ষাপটে পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চল এখন মানবিক সহায়তার অপেক্ষায়। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থাগুলো জনগণকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে।