সফলতার শীর্ষে ওসি বাঁশখালী

কামরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম:

নিজের কর্মদক্ষতা ও সততার মাধ্যমে ব্যক্তিগত সুনামের পাশাপাশি পুরো পুলিশ বিভাগের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছেন বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম। তাঁর নিরলস পরিশ্রমে বাঁশখালীবাসীর মুখে ফুটেছে স্বস্তির হাসি।

সম্প্রতি মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় আবারও সেরা ওসির মর্যাদা অর্জন করেছেন তিনি। এটি শুধু তাঁর একক সাফল্য নয়—চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের জন্যও এক গৌরবময় অধ্যায়। এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে একজন দক্ষ ও মানবিক নেতৃত্বদাতা, চট্টগ্রাম জেলার পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু (বিপিএম-বার)। তাঁর তত্ত্বাবধান, দিকনির্দেশনা ও অনুপ্রেরণাই এই সফলতার ভিত গড়ে দিয়েছে।

নেতৃত্ব যেখানে প্রেরণা
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই পেশাদার, দুর্নীতিমুক্ত, জনবান্ধব ও জবাবদিহিমূলক পুলিশি ব্যবস্থার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি শুধু অফিসে বসে ফাইল অনুমোদন দেন না, মাঠ পর্যায়ে নেমে বাস্তবতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে থানা পর্যায়ে কার্যক্রমকে গতিশীল করেছেন।

ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন,

“সাইফুল স্যারের মতো একজন চৌকস পুলিশ সুপারের অধীনে কাজ করতে পারা আমাদের জন্য সৌভাগ্যের। তিনি আমাদের শোনেন, সংশোধন করেন এবং সর্বোপরি উৎসাহ দেন—এই কারণেই আজ আমরা সফল।”

বাঁশখালী থানায় যোগদানের পর উত্তরণের গল্প
ওসি হিসেবে যোগদানের পর থেকে মো. সাইফুল ইসলাম এলাকা ভিত্তিক অপরাধ চিহ্নিত করে গোয়েন্দাভিত্তিক অভিযান জোরদার করেন। মাদক, চুরি, ছিনতাই, সন্ত্রাস ও রাজনৈতিক সহিংসতার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেন। তাঁর মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি, সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত ও আইনি পদক্ষেপের ফলে জনসাধারণের মাঝে পুলিশি সেবার প্রতি আস্থা তৈরি হয়েছে।

এই সময়ের মধ্যেই তিনি একাধিক হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্‌ঘাটন, সংঘবদ্ধ চোরচক্র ও মাদক সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া, এবং বেশ কয়েকটি জটিল মামলার আসামি গ্রেপ্তারের মতো উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছেন।

টিমওয়ার্কের মডেল: বাঁশখালী থানা
ওসি সাইফুল ইসলাম কখনও একক কৃতিত্ব দাবি করেন না। তিনি বলেন,

“আমি একা কিছুই না। আমার টিম ছাড়া কিছুই সম্ভব হতো না। প্রতিটি পুলিশ সদস্য নিজের দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছেন বলেই আজকের এই সাফল্য সম্ভব হয়েছে।”

তিনি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার ও সাতকানিয়া সার্কেলের প্রতি, যাঁরা নিয়মিত দিকনির্দেশনা ও সহায়তা দিয়ে পুলিশের কার্যক্রমকে গতিশীল রেখেছেন।

জনগণের আস্থা ও ভালোবাসায় গড়া সাফল্য
এলাকাবাসীর মতামত অনুযায়ী, “ওসি সাহেব শুধু একজন পুলিশ কর্মকর্তা নন, তিনি আমাদের পরিবারের একজন সদস্যের মতো। যেকোনো সমস্যায় তিনি ফোন ধরেন, দরজা খুলে দেন।”

এই সম্পর্কের ভিত্তিতেই অপরাধ দমনে জনগণের তথ্য বড় সহায় হয়ে উঠেছে।

সততা ও পেশাদারিত্বের প্রতীক
ওসি সাইফুল ইসলামের সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো তাঁর সততা ও নিরপেক্ষতা। রাজনৈতিক চাপ বা প্রভাবের তোয়াক্কা না করে তিনি ন্যায়বিচারকে অগ্রাধিকার দেন। তাঁর ভাষায়:

“আইন সবার জন্য সমান। আমি কোনো দলের কর্মচারী নই—আমি জনগণের পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা আমার দায়িত্ব ও অঙ্গীকার।”

পুলিশ সুপারের মূল্যায়ন
পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম সানতু বলেন,

“আমি গর্বিত যে আমাদের থানাগুলো পেশাদারভাবে কাজ করছে। ওসি সাইফুল ইসলাম এর মতো দায়িত্বশীল ও মানবিক পুলিশ সদস্যদের আমরা সর্বদা উৎসাহ দিই।”

ভবিষ্যতের প্রত্যাশা
ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন,

“আমার দায়িত্ব যতদিন থাকবে, আমি মানুষের জন্য কাজ করব। আমার সম্মান মানে পুলিশের সম্মান। আমার থানার সাফল্য মানে পুরো জেলার সাফল্য।”

তিনি তরুণ পুলিশ অফিসারদের উদ্দেশে বলেন:

“দায়িত্বে থাকলে মন-প্রাণ ঢেলে দিতে হয়। সৎ থাকলে মানুষ পাশে দাঁড়ায়, আর আল্লাহ সাহায্য করেন।”

উপসংহার
চট্টগ্রামের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যখন উন্নতির পথে, তখন বাঁশখালী থানার মতো একটি থানার সেরা হওয়া নিঃসন্দেহে আশার আলো। এই অর্জনের পেছনে যেমন রয়েছে ওসি সাইফুল ইসলামের নিষ্ঠা ও দক্ষতা, তেমনি পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতুর দূরদর্শী নেতৃত্বও এক অনন্য উদাহরণ।

এই সাফল্য শুধু একটি থানার গল্প নয়—এটি গোটা দেশের জন্য একটি দৃষ্টান্ত, একটি আলোকবর্তিকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *