হাসিনার দোসরের টাকায় কর ফাঁকিবাজ হ্যাভেন লাইটের চেয়ারম্যান মাসুম বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন

স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক: 

স্টাফ রিপোর্টার: গোপালগঞ্জের প্রচন্ড ক্ষমতাধর মাসুম  ঢাকার প্রাণকেন্দ্র পল্টন, গুলশান ও  নবাবপুর এ বিশাল বিশাল শোরুমের মাধ্যমে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা কর ফাঁকির মাধ্যমে। রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে বিশাল ইন্ডাস্ট্রি, গুলশান, ধানমন্ডি বিশাল আলিশান বাড়ির হ্যাভেন লাইটের এর মালিক মাসুম। সারা বাংলাদেশে তার রয়েছে ব্যবসার বিশাল একটি নেটওয়ার্ক। ঢাকার কামরাঙ্গীরচরে গড়ে তুলেছেন বিশাল কারখানা ইন্ডাস্ট্রি। কামরাঙ্গীরচরের চেয়ারম্যান বাড়ির মোড়েই বিশাল আকারের দুটি বিল্ডিং যার একটি নাম চায়না বিল্ডিং । কথিত আছে চায়না বিল্ডিংটির ১৩ তলা বিল্ডিংটির রাজউকের অনুমোদন আছে ১০ তলার বাকি তিন তলা রাজউকে ম্যানেজ করে গড়ে তুলেছেন। শ্রমিকদের জন্য চায়না বিল্ডিং থেকে বের হওয়ার জন্য একটি সিঁড়ি ব্যতীত আলাদা কোন সিঁড়ি নেই। কোন কারনে যদি ভবনে আগুন লাগে তাহলে শ্রমিকদের নিরাপদে বের হওয়ার জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা নেই। ১৩তলা বিল্ডিংটির প্রায় ৪০% জায়গা ছেড়ে বিল্ডিং   করার কথা। কিন্তু রাজউকের এই নিয়ম এটুকু ফলো করেননি বিল্ডিংটির মালিক মাসুম। কারখানার ভিতরে আছে শিশু শ্রমিক যাদের বয়স এখনো ১৮ হয়নি। ঠিক চার থেকে পাঁচটা বিল্ডিং পরেই রয়েছে প্রায় এক বিঘা জায়গার উপরে অপর একটি ৮ তলা বিল্ডিং।  তার পাশেই রয়েছে সেমি ৩ তলা আরেকটি বিল্ডিং। নেই ফায়ার ফাংটিংএর সুযোগ সুবিধা। আর এসব করেছেন গত ১৬-১৭ বছরের ধরে আওয়ামী লীগের আমলে, কারণ হেভেন লাইটের  চেয়ারম্যান মাসুমের বাড়ি গোপালগঞ্জ হওয়ায় বিনা বাদায় সব ধরনের ব্যবসা করে গেছেন মাসুম। এনবিআর এর কর ফাঁকি মামলায় একবার জেল খেটেছেন সামান্য কিছুদিন। কারণ প্রশাসনে ছিল তার রাঘববোয়ালদের হাত। কথিত আছে ঢাকার সাবেক পুলিশ কমিশনার হাবিবের ব্যবসায়িক পার্টনার এই মাসুম হাবিবের অবৈধ টাকা এই হ্যাভেন লাইটে ইনভেস্ট করা আছে। যা দেখাশোনা করেন হাবিবের ভাগিনা সোহান, টুঙ্গীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ গাজী, যে কিনা পরিচয় দেয় পুলিশের আইজি তার দুলাভাই। মাসুম, মাসুদ গাজী আর সোহান মিলে গড়ে তুলেছেন বিশাল এক সিন্ডিকেটের ব্যবসা। হ্যাভেন লাইট এর ব্যবসার কর জালিয়াতির হিসাব নেয়ার জন্য একটি মানবাধিকার সংস্থা, দুদক এবং এনবিআরে আবেদন করেছেন তাদের ব্যবসার কর ফাকির খতিয়ান হিসাব নিকাশ করার জন্য। মাসুম ক্ষমতার দম্ভ দেখিয়ে চায়না বিল্ডিং এর এক পাশের এক অসহায় ব্যক্তির প্রায় পৌনে এক কাঠা জায়গা জমি দখল করে নিয়েছেন জোরপূর্বক। ঐ ভুক্তভোগী বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিকার চেয়েও কোথায় সাহায্য পাননি উল্টো হয়েছেন হয়রানির শিকার। এ বিষয়ে হ্যাবেন লাইটের মালিক মাসুমের বক্তব্য জানার জন্য একাধিক বার ফোন করা হলেও ফোন ধরেননি তিনি। পুলিশের সাবেক কমিশনার হাবিব এবং হেভেন লাইটের চেয়ারম্যান মাসুমের কর বিহীন টাকার উৎস খুঁজতে অনুসন্ধান চলমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *