সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন ওসি জাহেদ

কামরুল ইসলাম:

ধারাবাহিক সফলতার অনন্য নজির স্থাপন করেছেন সাতকানিয়া থানার ওসি জাহেদুল ইসলাম।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ (সাতকানিয়া) থানার ওসি জাহেদুল ইসলাম সন্ত্রাসী ও মাদক, কিশোর গ্যাং বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে স্বল্প সময়ের মধ্যে সুনাম অর্জন করেছেন সাতকানিয়া থানার পুলিশ অফিসার ইনচার্জ ওসি জাহেদুল ইসলাম। মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম সম্পর্কে সাতকানিয়া উপজেলার জনসাধারণ বলেছেন, জাহেদুল ইসলাম ওসি হিসেবে জনসাধারণের বিশ্বাস ও মর্যাদা অর্জন করেছেন। এটি তাঁর সাফল্য, যা চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের ইতিহাসে এক অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

এই অসাধারণ সাফল্যের পেছনে রয়েছেন একজন দক্ষ, প্রজ্ঞাবান ও উদার নেতৃত্ব—চট্টগ্রাম জেলার মাননীয় পুলিশ সুপার জনাব মো. সাইফুল ইসলাম সানতু। তাঁর নির্দেশনা, তত্ত্বাবধান ও সাহসী দিকনির্দেশনা না থাকলে হয়তো এই ইতিহাস তৈরি হতো না।

নেতৃত্ব যেখানে আলোকবর্তিকা—মাননীয় পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু সাহেব দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই চট্টগ্রাম জেলা পুলিশে এক নতুন অধ্যায় সূচিত হয়েছে। তিনি দুর্নীতিমুক্ত, পেশাদার, জনবান্ধব ও জবাবদিহিমূলক একটি পুলিশি ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রত্যয়ে কাজ করে চলেছেন। তাঁর সুদূরদর্শিতা, নেতৃত্বগুণ ও কর্মতৎপরতা ইতোমধ্যেই চট্টগ্রাম জেলার প্রতিটি থানা ও পুলিশ সদস্যদের মধ্যে এক নতুন আশার আলো জ্বালিয়েছে।

তিনি শুধু অফিস থেকে ফাইল অনুমোদন দেন না, সরাসরি মাঠে নেমে বাস্তবতার আলোকে সিদ্ধান্ত নেন, প্রতিটি থানার ওসি ও টিমকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়ে উৎসাহিত করেন।

ওসি জাহেদুল ইসলামের ভাষায়, “চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার স্যারের মতো একজন সুদক্ষ চৌকষ ক্যাডেট পুলিশ সুপারের অধীনে কাজ করতে পারা আমাদের জন্য পরম সৌভাগ্যের। তিনি আমাদের শুধু আদেশ করেন না, শোনেনও। আমাদের ভুল-ত্রুটি গঠনমূলকভাবে সংশোধন করেন। এই কারণেই আমরা সফল হয়েছি, এবং সাতকানিয়া থানা সফল হয়েছে।”

সাতকানিয়া থানায় যোগদানের পর উত্তরণের গল্প—
২০২৫ সালের সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন মো. জাহেদুল ইসলাম। তার আগমন যেন নতুন সম্ভাবনার সূচনা ছিল। শুরুতেই তিনি এলাকাভিত্তিক অপরাধ চিহ্নিত করে গোয়েন্দাভিত্তিক অভিযান জোরদার করেন। চুরি, ছিনতাই, মাদক কারবার, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও রাজনৈতিক সন্ত্রাস—সবকিছুর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে শুরু করেন। তাঁর একাগ্রতা, মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি ও সময়োপযোগী পদক্ষেপের ফলে এলাকাবাসীর মধ্যে পুলিশি সেবার প্রতি আস্থা বাড়ে।

এই সময়ের মধ্যে তিনি একাধিক হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন করেন, জটিল মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করেন, সংঘবদ্ধ চোরচক্র ও মাদক সিন্ডিকেট ভেঙে দেন। সবচেয়ে বড় কথা, তিনি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে প্রতিটি অভিযানে সুশৃঙ্খল ও পেশাদারিত্ব বজায় রাখেন। তাঁর অফিসে সাধারণ মানুষ বিনা ভয়ভীতিতে অভিযোগ করতে আসেন এবং সময়মতো ন্যায়বিচার পান।

টিমওয়ার্কের মডেল:
সাতকানিয়া থানার ওসি মো. জাহেদুল ইসলাম সবসময় তাঁর টিমের প্রশংসা করে থাকেন। তিনি কখনোই একক কৃতিত্বের দাবি করেন না। তাঁর মতে, “আমি একা কিছুই না। আমার টিম ছাড়া আমি সফল হতাম না। প্রতিটি পুলিশ সদস্য, এসআই, এএসআই, কনস্টেবল—সবাই যার যার দায়িত্ব পালন করেছে বলেই আজ সাতকানিয়া থানা সেরা।”

তিনি বিশেষভাবে কৃতজ্ঞতা জানান পুলিশ সুপার এবং সার্কেল মহোদয়ের প্রতি, যাঁরা সার্বক্ষণিক পেশাগত সহায়তা দিয়ে পুলিশি কার্যক্রমকে গতিশীল করেছেন। তিনি বলেন, “পুলিশ সুপার এবং সার্কেল স্যারের আন্তরিক সহযোগিতা ও আমাদের প্রতি নির্ভরশীলতা আমাকে সাহস দিয়েছে।”

জনগণের ভালোবাসায় গড়া সাফল্য:
এই থানার সবচেয়ে বড় শক্তি হলো এলাকাবাসীর আস্থা ও সহযোগিতা। ওসি জাহেদুল ইসলাম বারবার বলেছেন, “আমাদের জনগণ পুলিশকে সেবক হিসেবে গ্রহণ করেছে বলেই আমরা এতটা সহজে সেবা দিতে পারছি। অপরাধ দমনে জনগণের তথ্য আমাদের পথ দেখায়।”

সাতকানিয়া উপজেলা এলাকার সাধারণ মানুষ বলেন, “ওসি সাহেবকে আমরা পুলিশ না, আপন মানুষ ভাবি। যেকোনো সমস্যা হলে তিনি ফোন ধরেন, ব্যবস্থা নেন, দরজা খুলে দেন। পুলিশ নিয়ে ভয় নয়, এখন আমরা আশ্বাস পাই।”

সততা ও পেশাদারিত্বের প্রতীক:
তাঁর সবচেয়ে বড় পরিচয় হলো তাঁর সততা ও নিরপেক্ষতা। রাজনৈতিক চাপ বা প্রভাবের তোয়াক্কা না করে তিনি ন্যায়বিচারকে অগ্রাধিকার দেন। কোনো অপরাধী বড় নেতা বা প্রভাবশালী হোক না কেন, তিনি আইনের বাইরে কাউকে ছাড় দেননি।

তিনি বলেন, “আইন সবার জন্য সমান। আমি কোনো রাজনৈতিক দলের কর্মচারী নই—আমি জনগণের পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করা আমার ধর্ম, দায়িত্ব এবং অঙ্গীকার।”

অসাধারণ এই সাফল্যের মূল্যায়ন:
এই সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ হিসেবে সেরা হওয়ার নজির গড়লেন ওসি মো. জাহেদুল ইসলাম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *