স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর উত্তরা মাইলস্টোন কলেজ ক্যাম্পাসে ভয়াবহ এক বিমান দুর্ঘটনায় কেঁপে উঠেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও আশপাশের এলাকা। সোমবার বিকেলে বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান কলেজ ক্যাম্পাসের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। এতে এখন পর্যন্ত একজন নিহত এবং ২৭ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই শিক্ষার্থী; তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার ও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার খালেদা খানম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াতে দলের নেতা-কর্মী ও সাধারণ জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তারেক রহমান বলেন, “আমরা মাইলস্টোন কলেজে বিমান দুর্ঘটনার হৃদয়বিদারক ঘটনায় গভীরভাবে মর্মাহত। যে প্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের শেখা, বিকাশ ও মানসিক সুস্থতার সহায়ক হওয়ার কথা, সেখানে এমন ভয়ংকর অভিজ্ঞতা কোনো ছাত্র-ছাত্রীর জন্যই কাম্য নয়।”
তিনি আরও বলেন, “আমি গভীর প্রার্থনা করছি এই মর্মান্তিক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্ষতিগ্রস্ত তরুণ প্রাণদের জন্য। পাশাপাশি বিএনপির সব নেতা, কর্মী ও পেশাজীবী সমাজের প্রতি আহ্বান জানাই—এই দুঃসময়ে যেন আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়াই।”
তারেক রহমানের মতে, “একটি ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে আমাদের এই সংকট কাটিয়ে উঠতেই হবে।”
দুর্ঘটনার সময়ের বর্ণনা দিতে গিয়ে কলেজের প্রভাষক রেজাউল ইসলাম বলেন, “একটা প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান সরাসরি জুনিয়র সেকশনের বিল্ডিংয়ে আঘাত হানে। নার্সারি, ওয়ান, টু, থ্রি এসব ক্লাস চলে ওই ভবনে। বিল্ডিংয়ের গেটে একেবারে গর্ত হয়ে আগুন ধরে যায়।”
সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, স্কুলের বাগানঘেঁষা ভবনের নিচতলায় আগুনে জ্বলছে বিমানের ইঞ্জিন। দমকল কর্মীরা পানি দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন এবং একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের নিরাপদে সরিয়ে নিচ্ছেন।
বর্তমানে ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।