মোঃ আনজার শাহ:
আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক পিএলসি থেকে একযোগে ৫৪৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করার ঘটনায় চরম ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে ভুক্তভোগীদের মাঝে। এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন করেন চাকরি হারানো কর্মকর্তারা।
ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে সরবরাহকৃত এক চিঠিতে দেখা গেছে, “ব্যাংকের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ব্যাংকের পরিষেবার আর প্রয়োজন নেই”—এমন ভাষায় কর্মী ছাঁটাইয়ের আদেশ প্রদান করা হয়েছে। এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, চার মাসের মূল বেতন নোটিশের পরিবর্তে প্রদান করা হবে এবং অন্যান্য পাওনা সুবিধাগুলো ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী আদায়ের সুযোগ থাকবে।
কক্সবাজারের পেকুয়া শাখার কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী আক্তার, যিনি দীর্ঘদিন ধরে নগদ বিভাগে কাজ করছিলেন, তাকেও ২০ জুলাই ২০২৫ তারিখে কার্যকরভাবে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এমন আকস্মিক ও একতরফা সিদ্ধান্তে ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীরা চরম মানবিক সংকটে পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী একাধিক ভুক্তভোগী বলেন, “বছরের পর বছর আমরা এই প্রতিষ্ঠানে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছি। কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই এক চিঠিতে চাকরি শেষ করে দেওয়া কি মানবিকতা?”
তারা আরও বলেন, এই গণছাঁটাই শুধু অর্থনৈতিক সঙ্কট নয়, এটা মানসিকভাবে ধ্বংস করার মতো একটি কাজ। আমাদের পরিবার, সন্তানদের শিক্ষা, চিকিৎসা—সব কিছু হুমকির মুখে। সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে আমরা দ্রুত হস্তক্ষেপের দাবি জানাই।
বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের আর্থিক খাতে সাম্প্রতিক সময়ে একের পর এক ছাঁটাইয়ের ঘটনায় চাকরির নিরাপত্তা নিয়ে যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ঘটনা তা আরও ঘনীভূত করেছে।