একজন আশীর্বাদস্বরূপ মানুষ: বরুড়া ও আদ্রাবাসীর হৃদয়ে চিরজাগরুক আবু নাছের ইয়াহিয়া শারমিন

মোঃ আনজার শাহ:

তিনি ছিলেন একজন পরিপূর্ণ মানুষ— একাধারে দানবীর, সমাজসেবক, সফল শিল্পপতি ও স্বপ্নবাজ নেতৃত্বের প্রতীক।
আবু নাছের ইয়াহিয়া শারমিন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক পিএলসি— কুমিল্লার বরুড়া উপজেলার সাধারণ মানুষের হৃদয়ে তিনি আজও জীবন্ত এক প্রেরণা।

বরুড়া থানার অন্তর্গত ১৩ নম্বর আদ্রা ইউনিয়নের মানুষের কণ্ঠে আজ একটি কথাই শোনা যায়—
“আবু নাছের ভাই ছিলেন আমাদের জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত এক রহমত।”

যে সময় এলাকায় চাকরি বা কর্মসংস্থানের সুযোগ ছিল না বললেই চলে, সেই সময়ে শত শত হতাশাগ্রস্ত তরুণের পাশে দাঁড়িয়ে আশার আলো জ্বালিয়েছিলেন এই মহান মানুষটি। নিজের অবস্থান, সম্পর্ক, দক্ষতা ও আন্তরিকতা দিয়ে অনেক বেকার যুবকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন। ব্যাংকিং খাতসহ বেসরকারি বিভিন্ন সেক্টরে তাঁর সুপারিশে অনেকেই পেয়েছেন স্বপ্নের চাকরি।

একজন বটবৃক্ষের অনুপস্থিতি আজ গভীরভাবে অনুভব করছে গ্রামবাসী

এলাকার মানুষ বলছেন— আবু নাছের ইয়াহিয়া শারমিন বেঁচে থাকলে আজকের এই সংকটময় পরিস্থিতি এতটা কঠিন হতো না। তাঁর অসাধারণ দূরদর্শিতা, মানবিক চিন্তা ও কার্যকর উদ্যোগ মানুষের জীবনে সাহস ও সমাধান এনে দিত। আদ্রা ইউনিয়নের জনগণ বলেন—
“তিনি ছিলেন আমাদের ছায়া; যিনি না থাকায় আমরা আজ রোদে পুড়ছি।”

একজন আদর্শিক নেতৃত্ব কেমন হওয়া উচিত, আবু নাছের ইয়াহিয়া শারমিন তা তাঁর জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন। তিনি কখনো নিজেকে সামনে আনেননি, বরং নীরবে অসংখ্য মানুষের জীবনে পরিবর্তন এনে দিয়েছেন।

শেষ বিদায়: এক অপূরণীয় শূন্যতা

মৃত্যুকালে আবু নাছের ইয়াহিয়া শারমিন সাহেবের বয়স হয়েছিল ৬০ বছর। তিনি রেখে গেছেন স্ত্রী, দুই পুত্র, এক কন্যা এবং অসংখ্য গুণগ্রাহী— যারা আজও তাঁর অবদান স্মরণ করে চোখ ভিজিয়ে ফেলেন।

আজ যখন তিনি আমাদের মাঝে নেই, তখন সবাই গভীরভাবে অনুভব করছেন—
“তিনি ছিলেন এক জীবন্ত ইতিহাস, এক সাহসী পথপ্রদর্শক।”

তাঁর অবদান কোনোদিন ভুলবার নয়। গ্রামের প্রতিটি পথ, প্রতিটি ঘর, আর মানুষের মুখে মুখে একটি চাওয়া—
“আল্লাহ তাআলা যেন তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌসের উচ্চ মাকাম দান করেন।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *