স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক:
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক ছাত্রদল সভাপতি শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, “শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় লুটপাটকারী, দুর্নীতিবাজ ও গণহত্যাকারী। তাদেরকে যদি বিচারের আওতায় না আনা হয়, তাহলে গত ১৫ বছর ধরে যারা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, শহীদ হয়েছে, তাদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হবে।”
শনিবার (২৬ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’-এর উদ্যোগে আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। “আওয়ামী লীগ ও তাদের দোসরদের বিচারের দাবিতে” এই সমাবেশে বিএনপি ও সমমনা নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
শেখ হাসিনাকে ‘দানব’ আখ্যা, খায়রুল হককে তুলাধোনা
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, “শেখ হাসিনা ও তার দল শুধু খুনি বা লুটপাটকারী নয়, তারা হিটলারের অনুসারী। তারা গণতন্ত্র ধ্বংস করেছে, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে অসম্মান করেছে। শেখ হাসিনা ও তার দল হচ্ছে দানব, আর এই দানবদের কারিগর হচ্ছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক। আমি অবাক হই—এখনো মিডিয়া তাকে ‘প্রধান বিচারপতি’ বলে সম্বোধন করে! এমন একজন ব্যক্তি যিনি বাংলাদেশের বিচার বিভাগকে কলঙ্কিত করেছেন, তিনি এই দেশের স্বাধীনতাকে অপমান করেছেন।”
“আসবে জনগণের সরকার, হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার হবে”
দুদু বলেন, “বর্তমান সরকার যদি চায় তাহলে নিজেরাই নিজেদের বিচারের আওতায় আনতে পারে। না পারলে, ভবিষ্যতে জনগণের ভোটে গঠিত একটি গণতান্ত্রিক সরকার তাদের বিচার করবে। শহীদদের প্রতি সম্মান রাখতে হলে খুনি হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচার অনিবার্য।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপি জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে আবার সরকার গঠন করবে। তখন যারা দেশের জনগণের রক্ত নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে, যারা দুর্নীতি ও দমন-পীড়নের মাধ্যমে দেশের ভিত্তি নষ্ট করেছে—তাদের বিচার হবেই। শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে দেশের জনগণ কখনোই ক্ষমা করবে না।”
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতি পূর্ণ আস্থা
বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি বলেন, “দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুই নেতা। তারা কখনো অন্যায়ের সঙ্গে আপস করেননি, ভবিষ্যতেও করবেন না। তাদের নেতৃত্বেই এ দেশের জনগণ ন্যায়ের পথে ফিরে আসবে।”
অন্য নেতাদের উপস্থিতি
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলন’-এর সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন। আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, কৃষকদলের সাবেক দপ্তর সম্পাদক এসকে সাদীসহ সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা।
সমাবেশে বক্তারা বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে ধরেন এবং অবিলম্বে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবি জানান।