কামরুল ইসলাম:
চট্টগ্রামের রাঙুনিয়া উপজেলার স্বনির্ভর রাঙুনিয়া ইউনিয়ন ও চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের কোদালা বনবিট এলাকায় সড়ক ও সংরক্ষিত বন থেকে রাতের আঁধারে সেগুনসহ মূল্যবান গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে দুর্বৃত্ত চক্র।
সম্প্রতি স্বনির্ভর রাঙুনিয়া ইউনিয়নের তাইজ্জ্যা হাট সড়কের দুই পাশ থেকে প্রায় ১০টি মূল্যবান গাছ কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, পিচঢালা সড়কের পাশে সারি সারি গাছ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছিল। কিন্তু দুর্বৃত্তরা পরিকল্পিতভাবে বড় বড় গাছগুলো কেটে নেয়। গাছগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকা।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরুল্লাহ্ জানান, গাছ কেটে নেওয়ার ঘটনার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে করাতকলে নেওয়া কিছু গাছের গুঁড়ির ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। রোববার সেগুলো উদ্ধারের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায়ও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, এর আগেও একইভাবে সড়কের গাছ কেটে নেওয়া হলেও প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি, ফলে দুর্বৃত্তদের আস্ফালন বেড়েছে।
এদিকে চন্দ্রঘোনা–কদমতলী ইউনিয়নের কোদালা বনবিট এলাকার সংরক্ষিত বন অফিস সংলগ্ন টিলা থেকে গভীর রাতে দুটি সেগুন গাছ কেটে নিয়ে যায় একটি সংঘবদ্ধ চক্র। কোদালা বিট কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান জানান, খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে কাটা গাছের ২২ টুকরো (প্রায় ২২ ঘনফুট) উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি বন আইনে মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, “আমি গত ৫ আগস্ট কোদালা বিটে যোগদানের পর থেকে ২৫টি মামলা করেছি। তবে মাত্র ৪ জন কর্মী নিয়ে বিশাল বন পাহারা দেওয়া খুবই চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
রাঙুনিয়ার বন ও সড়কের গাছ রক্ষায় প্রশাসনের তৎপরতা বাড়ানো এবং স্থানীয়দের সচেতন ভূমিকা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা।