স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক:
যারা নির্বাচনকে ভয় পায়, তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, “আপনি যদি নির্বাচনকে ভয় পান, তাহলে রাজনীতি ছেড়ে দেন। প্রেসার গ্রুপ বা এনজিও খুলে জনগণের পাশে থাকুন, কিন্তু গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার অধিকার আপনাদের নেই।”
রোববার (২৭ জুলাই) ঢাকায় রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘জুলাই বিপ্লবের এক বছর’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদ।
আমীর খসরু বলেন, “যেসব দেশে গণতন্ত্রকে বিলম্বিত করা হয়েছে, সেখানে রাজনৈতিক বিভাজন, গৃহযুদ্ধ ও ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার নজির রয়েছে। বিপরীতে, যারা দ্রুত গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে যেতে পেরেছে, তারা উন্নয়ন, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে গেছে।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশেও রাজনৈতিক মতাদর্শ, চিন্তা, দর্শনে ভিন্নতা থাকবে, এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। কিন্তু জাতীয় ইস্যুতে সবাইকে এক হতে হবে। আমরা বাকশাল করতে আসিনি, একদলীয় শাসনের পথে যাব না।”
সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “রাজনীতিতে সহনশীলতা থাকতে হবে। ভিন্নমত থাকবে, কিন্তু সহিংসতা নয়। একে অপরকে শ্রদ্ধা করতে হবে। রাজনৈতিক বিতর্ক থাকবেই, তবে তা যেন জনগণের কল্যাণে হয়।”
আওয়ামী লীগের পতনের পর দেশের রাজনীতিতে বড় পরিবর্তন আসবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের মানুষের চিন্তা-ভাবনায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। এই পরিবর্তন যারা বুঝতে পারছে না, তাদের কোনো রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নেই। জনগণই পরিবর্তনের প্রধান শক্তি, তাই পরিবর্তন জনগণকে সঙ্গে নিয়েই আনতে হবে।”
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, “এখন সময় ঐক্যের। সরকার পরিবর্তনের আন্দোলনকে আরো গতিশীল করতে হবে। যারা এখনো সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছেন, সময় বেশি নেই। জনগণ প্রস্তুত, নেতৃত্বকেও প্রস্তুত হতে হবে।”
সভায় বিএনপি, ভাসানী অনুরাগী রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। সভা শেষে জুলাই বিপ্লবের চেতনা ও অঙ্গীকার বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়।