স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক:
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন—এই তিনটি প্রক্রিয়া সমান্তরালভাবে এগিয়ে নিতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে আবারও জাতীয় বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীতে জাতিসংঘের মানবাধিকার সংস্থার আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘জুলাই স্মরণ সভা’-তে এসব কথা বলেন তিনি। জামায়াত আমির বলেন, শহীদ পরিবারের সদস্যরা এখন আর কোনো বিচার না দেখে নির্বাচনের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। তাদের বক্তব্য হলো—যারা জঘন্য অপরাধ করেছে, অন্তত তাদের মধ্যে কয়েকজনের বিচার চোখের সামনে দেখতে চান তারা।
জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং প্রক্রিয়ার কথাও উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই প্রতিবেদনে কিছু অপূর্ণতা ছিল, যা পূরণ করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। তার ভাষায়, “আমাদের ওপর অবিচার হয়েছে, আমাদের নেতাদের বিচারিক হত্যা করা হয়েছে। আমরা আর এমন অন্যায় বিচার দেখতে চাই না।” তিনি আরও বলেন, “বিচার যেন শতভাগ স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও ন্যায়ের ভিত্তিতে হয়।
তাহলে কেউই পার পাবে না—এই বিশ্বাস আমাদের রয়েছে। যারা খুন করেছে, তারা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায়, এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি দূর হয়।” শফিকুর রহমান দাবি করেন, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়ায় জামায়াত সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। তিনি আরও বলেন, সরকার গঠনের সুযোগ পেলে কিংবা বিরোধী দলে থাকলেও জামায়াতের অবস্থান হবে স্পষ্ট, ন্যায়নিষ্ঠ ও অকুতোভয়।
“আমরা কাউকে ভয় করি না, শুধু আল্লাহকে। আমরা দায়বদ্ধ থাকি নিজের বিবেক ও দেশবাসীর কাছে। অন্য রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকেও আমরা একই প্রতিশ্রুতি প্রত্যাশা করি,”—যোগ করেন তিনি। বক্তব্যের শেষদিকে জামায়াত আমির বলেন, “কে সরকার গঠন করবে, তা নিয়ে প্রশ্ন নয়। তবে যারা সরকারে আসবে, তারা যেন জাতির এই আমানত রক্ষা করেন।
আমাদের যেন কেউ বিশ্বাসঘাতক বলতে না পারে। সরকার ও বিচার বিভাগ যেন আপসহীনভাবে পরিচালিত হয়—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”