আল-হেলাল :
ও আল্লাহ,ও আল্লাহগো,ও আল্লাহগো আমার পাও নাইগো,আমারে বাঁচাওগো” বলে চিৎকার করছিলো একজন যুবক। কেউ তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসেনি। সবাই চেয়ে চেয়ে যেন তামাশা দেখছিলো। আর কেউবা করছিল ভিডিও। বাম হাত দ্বারা গুলিবিদ্ধ বামপাটা ধরে ডান হাতে ভর দিয়ে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছিলো সে। বাঁচার অসম্ভব আকুতি নিয়ে একাধিকবার স্রষ্টার নামঝপ করে যার করুন আর্তনাদ আকাশ বাতাসকে প্রকম্পিত করেছিলো সেই গুলিবিদ্ধ মজলুম যুবকের নাম রিপন মিয়া (২০)। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার কুরবাননগর ইউনিয়নের মাইজবাড়ী বদিপুর গ্রামের কাঠমিস্ত্রী কামাল মিয়ার পুত্র তিনি। তার মায়ের নাম আছর বিবি। ২০০৪ সালের ১০ ডিসেম্বর গ্রামের বাড়ীতে জন্ম তার। আহত হওয়ার পর তিনি রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন ইন্সষ্টিটিউট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সেদিন ছিল রবিবার (৪ঠা আগস্ট) বিকেল আড়াইটা। ঐদিন ভাটির জনপদ সুনামগঞ্জ জেলা সদরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকা সকাল সাড়ে ৯টা থেকে একটি রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। একদিকে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন নিয়ে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ এবং অন্যদিকে অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন নিয়ে প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি প্রকাশ্য দিবালোকে কার্যত মুখোমুখি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশ প্রশাসন বিরোধীদলকে দমন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসে। আওয়ামী লীগ বিএনপির ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ায় ব্যাপক ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও ভাংচুর চালানো হয়। এরমধ্যে পুলিশ প্রথমে টিয়ারগ্যাস সেল নিক্ষেপ করেও পরিস্থিতি সামাল দিতে যখন ব্যর্থ হয় তখনই শুরু করে বেপরোয়া গুলি বর্ষণ। শহরের আরপিননগর ও জামতলা আবাসিক এলাকার প্রতিটি বাসভবনে করা হয় পরিকল্পিত হামলা। ভাংচুরসহ লুটতরাজ চালানো হয় জেলা বিএনপির কার্যালয়ে।
সাড়ে ৪ ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয় শিবিরের প্রায় অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী সমর্থক আহত হন। কিন্তু সকলের মধ্যে গুরুতর আহত রিপন মিয়ার ইতিহাস একেবারেই ভিন্ন। রিপন মিয়া কোন রাজনৈতিক দলের নেতা কিংবা কর্মী নন। তিনি পেশায় একজন থাইমিস্ত্রী। মা বাবার সংসারে তারা ৩ বোন ও একমাত্র ভাই। তার বোনদের মধ্যে রোজিনা বেগম সুনামগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে দশম শ্রেণিতে অধ্যয়ন করছে। অপর ২ বোন যথাক্রমে রুবিনা আক্তার ও সুমি আক্তার ঊভয়েই একই বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী। রিপন গ্রামের মাইজবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (পরবর্তীতে জুনিয়র হাইস্কুলে উন্নীত) ৭ম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। পিতা মাতার অভাবের সংসারের হাল ধরায় তার পক্ষে উচ্চশিক্ষা লাভ করা সম্ভব হয়নি। কিশোর বয়স থেকেই পরিবারের দরিদ্রতা ঘুচাতে থাইমিস্ত্রির কাজ নিয়ে আয় রোজগারে জড়িয়ে পড়েন তিনি।
রিপন যাদের সাথে লেখাপড়া করতেন তাদের অনেকেই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মী। বন্ধু বান্ধবদের আগ্রহ উৎসাহ উদ্দীপনায় ঐদিন তিনি পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে জেলা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কর্মসুচিতে যোগদান করেন। দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার প্রায় শেষ পর্যায়ে আওয়ামী লীগ,ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির অফিস ভাংচুর শেষে শহরের ট্রাফিক পয়েন্ট এর দিকে যখন চলে যায় ঠিক তখনই সর্বশেষ শক্তি নিয়ে তাদের পিছু ধাওয়া করে বিএনপি। কিন্তু পথিমধ্যে প্রবল বাধা হয়ে দাড়ায় পুলিশ প্রশাসন। শত শত রাউন্ড গুলি ছুড়ে আরপিননগর ও জামতলার দিকে বিএনপি নেতাদেরকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করে পুলিশ। কিন্তু শহরের মূল রাস্তা ছেড়ে পুলিশ দল যখন দুই মহল্লায় প্রবেশ করে ব্যাপক লাঠিচার্জ,টিয়ারগ্যাস সেল নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ করতে থাকে তখনই নিরুপায় হয়ে দ্বিগবিদিগ ছুটে যান বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় আরপিননগরের সাইফুল মিয়ার বাসার গলিতে একটি সিএনজির মধ্যে নিজেকে আড়াল করে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন রিপন। কিন্তু পুলিশ দল তাকে চতুর্দিক থেকে ঘেরাও করে প্রায় ৫টি বুলেট ছুড়ে। একপর্যায়ে জোর করে সিএনজি থেকে নামিয়ে একেবারে কাছে থেকে সর্বশেষ বুলেটটি বিদ্ধ করা হয় তার বাম পায়ে। তখনই শুরু হয় বুলেটবিদ্ধ গুরুতর জখমী রিপনের বুকফাটা আর্তনাদ। এর মধ্যে পুলিশ দলের পদাংক অনুসরনকারী একজন ক্যামেরাম্যান বলে উঠলো “লাহাওলা ওয়ালা কুয়াতা ইল্লা বিল্লাহি আলিউল আযিম। স্যার স্যার ধরা অইছে একজনকে”। দ্বিতীয়জন বলে, আপনার গুলিতে আমার কান বন্ধ। আমার ডাইন কান শেষ। তৃতীয় জন বলে,ওরে (রিপনকে) হাসপাতালে পাটাইতে অইবো। এই উইট্যা আয়বে। ইয়া আল্লাহ এর পাও গেছেগি,এর পাও শেষ। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। ঘটনাস্থলে থাকা এডিশনাল এসপি রাজন কুমার দাস বলেন, “স্যানসেটিভ ঘটনা ভিডিও কইরেননা”।
তারপরও সাংবাদিক ও ক্যামেরাম্যানদের দুএকজন ঘটনাস্থলের ভিডিও চিত্র ধারন করেন। একুশে টেলিভিশনের সুনামগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আব্দুস সালাম বলেন,এডিশনাল এসপি রাজন কুমার দাস নিষেধ করলেও আমরা ঘটনাটির ভিডিও ধারন করি। সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি খালেদ চৌধুরীই রিপনকে গুলিবিদ্ধ করেন। পরে আমি ও গ্লোবাল টেলিভিশনের জেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমান রোমান একটা রিক্সায় উঠিয়ে আহত রিপনকে জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করি।
সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন,সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরুল ইসলাম নুরুল,জেলা জামাতের আমীর মাওলানা তোফায়েল আহমদ খান,সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হাসান আবেদ,জমিয়তুল ওলামায়ে ইসলামের সভাপতি হযরত মাওলানা তাফাজ্জুল হক আজিজ,সাধারণ সম্পাদক মাওলানা তৈয়্যিবুর রহমান চৌধুরী,খেলাফত মজলিশের সভাপতি মাওলানা শাখাওয়াত হোসেন মোহন,জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির সভাপতি দেওয়ান ইছকন্দর রাজা চৌধুরী সুবক্ত রাজা ও জেলা গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এম.এ বারী সিদ্দিক বলেন,সুনামগঞ্জের রাজপথে গুলিবিদ্ধ রিপন আমাদের গর্ব ও অহংকার। স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতন আন্দোলনের একজন স্থানীয় অগ্রনায়ক হিসেবে আমরা তাকে আমাদের চেতনায় লালন করবো। তারা গুরুতর আহত রিপনের অসহায় পরিবারের পূণর্বাসনে এগিয়ে আসার জন্য অন্তর্বর্তীকালিন সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক মোঃ উসমান গনী,ইমনদ্দোজা আহমদ,মোঃ ইয়াকুব আলী, মোঃ ইলিয়াস আহমেদ প্রমুখ শিক্ষার্থীরা জানান, গুলিতে রিপনের পায়ের গোড়ালি দুমড়ে মুচড়ে যায়। বাঁচাও বাঁচাও বলে সে চিৎকার করতে থাকে। আক্রান্ত জায়গায় বাঁ-হাতে চেপে ধরে মোবাইল ফোনে নিজেই মাকে জানায়, ‘আমারে বাঁচাও, আমার পা’র মাঝে গুলি মারছে।’ পরিস্থিতি বুঝতে পেরে পুলিশ সদস্যরা সরে পড়েন। পরে একটি রিকশায় করে একা একাই হাসপাতালের দিকে রওনা দেন রিপন।
সুনামগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শেরেনুর আলী, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি অধ্যক্ষ শেরগুল আহমেদ,সাধারণ সম্পাদক রওনক আহমদ বখত,রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি পীর মাহবুবুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী এমরানুল হক বলেন,গত ৪ আগস্টে তারুণ্যর টগবগে রক্ত রিপনকে টেনে নিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে। এ সময় তার বাম পায়ে গুলি লাগে। দুপুর আড়াইটার দিকে আরপিননগর সড়কে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি মো. খালেদ চৌধুরী নিজেই তাকে গুলি করেছেন বলে সুনামগঞ্জের বিজ্ঞ আদালতে দায়েরকৃত দ্রæতবিচার আইনের মামলায় দাবি করেছেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। এখন হাসপাতালের বিছানায় অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে রিপনের।
রিপনের বাবা মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ছেলের আয় দিয়েই পরিবার চলত। এখন সে অসুস্থ, খুব কষ্টে আছি আমরা। কিছুদিন পাড়া-প্রতিবেশীদের সহযোগিতা ও সুদে টাকা এনে চিকিৎসা করিয়েছি। এখন সরকারিভাবে চিকিৎসা চলছে। ৭০ হাজার টাকা ঋণ করেছি। সেই ঋণের সুদের জন্য পাওনাদার তাগাদা দিচ্ছে। বলেছি, ছেলে সুস্থ হয়ে ফিরে আসলে টাকা পরিশোধ করব।
গুলিবিদ্ধ রিপন বলেন,ঘটনার সময় আমি দোকান থেকে বাড়িতে ফেরার পথে পুলিশের গুলাগুলিতে একটি বাসার গ্যারেজে আশ্রয় নিয়ে সিএনজিতে লুকিয়ে ছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাকে সেখানে খোঁজে গিয়ে সরাসরি গুলি করে। আমি অনেক কাকুতি-মিনতি করি কিন্তু পুলিশের কোনো দয়া হয়নি। আমাকে যে গুলি করেছে আমি তার বিচার চাই।
রিপন মিয়ার মা আছর বিবি বলেন, আমার ছেলের আয়েই সংসার চলতো। সে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। এই অবস্থায় আমার ছেলেসহ অসংখ্য নিরীহ ছাত্র-জনতার উপর যারা হামলা করেছে তাদের বিচার চাই। তিনি বলেন, আমরা কিছু পাই বা না পাই হামলাকারীদের বিচার হলে আমরা শান্তি পাবো।
রিপনের চাচাতো বোন শিল্পী বেগম বলেন,ঘটনার দিন গুলিবিদ্ধ রিপনকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে তাৎক্ষনিকভাবে সিলেটস্থ এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসা গ্রহনের ১০দিন পরে উন্নত চিকিৎসার লক্ষ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তত্ত্বাবধানে তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয় এবং ঢাকাতেই সে এখন পর্যন্ত চিকিৎসাধীন আছে।
রিপন মিয়ার ছোট বোন রোজিনা বেগম বলেন, আমার ভাইয়া গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর থেকে আমাদের পরিবারের সবাই কষ্টে আছি। জানিনা আমার ভাই আগের মতো স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলা করতে পারবে কি না। আমার ভাইকে সুস্থ দেখতে চাই।
জেলা জুলাই মঞ্চ আহবায়ক এম.এ বারী সিদ্দিক বলেন,মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) সকাল ১১টায় সচেতন সুনামগঞ্জবাসীর আয়োজনে শহরের ট্রাফিক পয়েন্টে রিপনের উপর গুলি বর্ষণকারীদের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বিএনপি নেতা মোশারফ হোসেন,জাতীয় পার্টির নেতা গোলাম হোসেন অভি,মানবাধিকার কর্মী মোজাহিদুল ইসলাম মজনু,সাদিকুল ইসলাম সুপ্রিয়,আমির উদ্দিন,শিল্পী বেগম,তোলা মিয়া,রিপন মিয়া, সুমন মিয়া ও মহসিন চৌধুরী প্রমুখ। বক্তারা অবিলম্বে তার সুচিকিৎসার ব্যয়ভার সরকারকে বহন করার পাশাপাশি নির্দেশদাতা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজন কুমার দাস ও সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি খালেদ চৌধুরীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য বর্তমান সরকারের নিকট জোর দাবী জানান ।
সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার এমএন মোর্শেদ বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস) কে বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর গুলি চালানোর কোন নির্দেশ ছিল না। মাঠপর্যায়ে কিছু অতিউৎসাহী কর্মকর্তা নিজ দায়িত্বে এই অন্যায় আচরন করে থাকলে তাদের বিচার করা হবে। তিনি বলেন,আমরা এই বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি করেছি। এই কমিটির কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রতিবেদনে আমাদের কারো দোষ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আহত রিপনের চিকিৎসার বিষয়েও সহায়তা করব আমরা। গত ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ইং “পঙ্গুত্ব নিয়ে এখনও চিকিৎসাধীন রয়েছেন সুনামগঞ্জে গুলিবিদ্ধ থাইমিস্ত্রী রিপন” শিরোনামে এ প্রতিবেদক উপরোক্ত বিবরণে আলোচ্য প্রতিবেদনটি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা বাসসে প্রেরণ করেন। দূর্ভাগ্যক্রমে এখনও সুস্থ হয়ে উঠতে পারেননি এ জুলাইযোদ্ধা। অন্যদিকে দীর্ঘ এক বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও তার উপর গুলি নিক্ষেপকারী সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়নি।