স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক:
২০২৪ সালের জুলাই মাসে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ও নির্দেশদাতারা কীভাবে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলো, সেটিও বিচারের দাবি রাখে বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে ‘জুলাই গণহত্যার বিচার, আলোচনা ও তথ্যচিত্র প্রদর্শন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালার অংশ হিসেবে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এই আয়োজন করে।
নির্দেশদাতাদের বিচারে অনুপস্থিতি চিন্তার বিষয়
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, “জুলাই হত্যাকারীদের সমর্থকরা এখনও বিভিন্ন সেক্টরে থেকে গেছে। যদি তারা না থাকত, তাহলে খুনিরা এতো সহজে পালিয়ে যেতে পারত না।”
তিনি আরও বলেন, “নির্দেশদাতারা সাজা থেকে বাঁচার আশায় দেশ ত্যাগ করতে পেরেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অনুপস্থিতিতে বিচার হবে এবং ট্রাইব্যুনাল রায় দেবেন। কিন্তু তাদের সত্যিকার অর্থে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে না—এটি মেনে নেওয়া যায় না।”
তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “বিচারে কিছু অভিযুক্ত সাজা পেলেও বেশিরভাগ শাস্তির বাইরে থাকবে। তাই বিচারের এই দিকটি নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হবে।”
জাতীয় স্বার্থের প্রতি রাজনৈতিক নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ
তিনি রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ব্যক্তিস্বার্থ ও দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থের জায়গায় কাজ করার জন্য সকল রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান।
অন্যান্য অনুষ্ঠানের তথ্য
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব শেখ আবু তাহের স্বাগত বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদদের এবং মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহতদের জন্য দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
সাথে ‘ট্রায়াল অব জুলাই কার্নেজ’ শীর্ষক একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শিত হয়।