স্টাফ রিপোর্টার:
সুর, কবিতা ও আবেগে মোড়ানো এক সন্ধ্যায় মুগ্ধতা ছড়ালেন শিল্পী ড. খান আসাদুজ্জামান। শুক্রবার (তারিখ উল্লেখযোগ্য) ঢাকার শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হলো তার দ্বিতীয় একক সংগীত সন্ধ্যা। গানের গভীরতা, সুরের আবেশ এবং কণ্ঠের আবেগে শিল্পী দর্শক-শ্রোতাদের হৃদয় ছুঁয়ে যান।
অনুষ্ঠানে তিনি পরিবেশন করেন ২২টি গান, যেগুলো নির্বাচিত হয়েছিল ভাবনাপ্রবণ ও নান্দনিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে। সূচনা করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী দেশপ্রেমের গান “ও আমার দেশের মাটি” দিয়ে—যা মিলনায়তনে আবেগঘন পরিবেশ তৈরি করে।
ড. খান আসাদুজ্জামান পরিবেশন করেন হাসন রাজা, দিজেন্দ্রলাল রায় (ডিএল রায়), রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, সলিল চৌধুরী, গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার ও পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো গুণী স্রষ্টাদের গান। প্রতিটি গানেই ছিল আবেগ, ব্যঞ্জনা এবং কণ্ঠের প্রতি টান।
বিশেষ আকর্ষণ ছিল শিল্পীর নিজস্ব রচনায় ও সুরে গাওয়া ‘মা’ শিরোনামের গানটি—যা শ্রোতাদের মাঝে আবেগের ঢেউ তোলে। এছাড়া অনুষ্ঠানের শেষ ভাগে প্রজন্মের জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী প্রমা মীমের সঙ্গে ড. খান আসাদুজ্জামানের দ্বৈত কণ্ঠে দুটি গান শ্রোতাদের মুগ্ধতা আরও বাড়িয়ে তোলে।
প্রতিটি পরিবেশনার পর করতালিতে মুখরিত হয় মিলনায়তন। শ্রোতাদের মতে, এই অনুষ্ঠান কেবল সংগীত পরিবেশনা নয়, বরং ছিল এক শিল্পভ্রমণ—যেখানে দেশপ্রেম, আত্মত্যাগ, ভালোবাসা ও অন্তর্লোকের অনুভব কণ্ঠের সুরে জীবন্ত হয়ে ওঠে।
সংগীত সন্ধ্যা শেষে শিল্পীর শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। অনেকে জানান, এ ধরনের আয়োজনে শুধু শিল্প নয়, আত্মার সঙ্গেও সংযোগ ঘটে।
উল্লেখ্য, ড. খান আসাদুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার ও পুলক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গানের শিল্পমূল্য বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। সংগীত ও গবেষণায় তার অবদান ইতোমধ্যেই শিল্পী সমাজে প্রশংসিত হয়েছে।