মানিকগঞ্জ পৌর এলাকায় আন্দারমানিকে বৃষ্টিতে হাঁটুপানি, এলজিইডি সড়কে নেই বিপদ সংকেত — বাড়ছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম:

মানিকগঞ্জ পৌরসভার বেউথা ব্রিজ থেকে ঝিটকা সড়কের আন্দারমানিক মোড় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা বর্ষায় পরিণত হয় জলাবদ্ধ এলাকায়। সামান্য বৃষ্টিতেই হাঁটুপানি জমে যায় রাস্তায়। পানি নিষ্কাশনের উপযুক্ত ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় এলাকাবাসীকে বছরের পর বছর ভোগতে হচ্ছে চরম দুর্ভোগে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এক বছর আগে এলজিইডির বাস্তবায়নে সড়কটি সংস্কার করা হলেও প্রকল্পে প্রতিশ্রুত গুরুত্বপূর্ণ কিছু কাজ—বিশেষ করে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাগুলো এক ফুট উঁচু করে নির্মাণ—বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে বর্ষায় রাস্তাজুড়ে পানি জমে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে, ঘটছে দুর্ঘটনাও।

মুন্নু স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কানিজ ফাতিমা গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ, হলি ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ, গোলড়া আকিজ টেক্সটাইল স্কুল, পরিবহন ও গার্মেন্টস শ্রমিকদের যাতায়াতে এই সড়কই প্রধান ভরসা। এছাড়া জেলার হরিরামপুর, দৌলতপুর, শিবালয় ও ঘিওর থেকে পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী যানবাহন এই পথ ব্যবহার করে।

এক পথচারী বলেন, “জলাবদ্ধতা এমন জায়গায় দাঁড়িয়েছে যে প্রতিদিন পানি ডিঙিয়ে যেতে হয়। একদিন এক চালক হুট করে গাড়ি চালিয়ে চলে গেলে পানি শরীরে ছিটকে পড়ে, রাগে গায়ে হাত তুলতে গিয়েছিলাম।”

অন্যদিকে, সড়কের আন্দারমানিক মোড়টিতে নেই কোনো সতর্কতা চিহ্ন বা বিপদ সংকেত খুঁটি। হঠাৎ বাঁক থাকলেও চালকরা তা আগেভাগে বুঝতে পারেন না। ফলে প্রায়শই ঘটে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। আবার ব্রিজ সংলগ্ন কিছু সংকেত খুঁটি ঝোপ-জঙ্গলে ঢাকা পড়ে আছে; ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হওয়ায় তৈরি হচ্ছে পরিবেশগত ঝুঁকিও।

স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত এই সড়কে কার্যকর ড্রেনেজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা, ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাগুলো উঁচু করা, সড়ক মোড়গুলোতে সঠিকভাবে বিপদ সংকেত ও প্রতিফলক খুঁটি স্থাপন এবং পুরনো সংকেত খুঁটির চারপাশ পরিষ্কার করা জরুরি।

এ বিষয়ে জানতে মানিকগঞ্জ জেলা এলজিইডি প্রকৌশলী এবি এম খোরশেদ আলমের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে, তার মোবাইল ফোনে সাড়া পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *