স্বাধীন সংবাদ ডেস্ক:
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন শুধু একটি রাজনৈতিক প্রক্রিয়া নয়, এটি দেশের প্রতিটি মানুষের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণ—এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, “এ দেশে যাতে ফ্যাসিবাদ, উগ্রবাদ ও চরমপন্থা মাথাচাড়া দিয়ে না উঠতে পারে, সেজন্য বিশেষ করে নারী সমাজকে সামনে থেকে ভূমিকা রাখতে হবে।”
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই ২০২৫) রাজধানীতে বিএনপির সহযোগী সংগঠন মহিলা দলের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, “একজন মায়ের চোখে বাংলাদেশ যেমন হওয়া দরকার, তেমন দেশ গড়তে হলে আগামী জাতীয় নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে হবে যা হবে সবার জন্য নিরাপদ, গণতান্ত্রিক ও মানবিক। এর জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকা জরুরি।”
তিনি বলেন, “ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ইতিহাসজুড়ে নারীরা সাহসিকতার সঙ্গে অংশ নিয়েছেন। আজও নারী শক্তিকে কর্মপরিকল্পনার বাইরে রেখে কোনো রাষ্ট্র উন্নতির পথে এগোতে পারে না। কিন্তু দেশের বর্তমান বাস্তবতায় অর্থনৈতিক স্বাবলম্বীতার ক্ষেত্রে নারীরা অনেকাংশে পিছিয়ে রয়েছেন।”
নারীদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিএনপির বেশ কিছু পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন তিনি। বলেন, “নারীদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সুযোগ বাড়াতে হবে। তারা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হলে পারিবারিক সহিংসতা রোধ সম্ভব হবে। নারী ক্ষমতায়ন মানে শুধু নেতৃত্ব নয়, এটি টিকে থাকা, বেড়ে ওঠা ও সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকার অধিকার।”
এ সময় তিনি বিএনপির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে জানান, “আমরা যদি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাই, তাহলে প্রথম পর্যায়ে কমপক্ষে ৫০ লাখ প্রান্তিক পরিবারের মাঝে ‘ফ্যামিলি কার্ড’ বিতরণ করব। এর মাধ্যমে খাদ্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যে স্বল্পমূল্যে সহায়তা নিশ্চিত করা হবে।”
আলোচনা সভায় মহিলা দলের শীর্ষস্থানীয় নেত্রীবৃন্দ ছাড়াও বিএনপির সিনিয়র নেতারা ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন। নারী অধিকার, ভোটাধিকার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপির অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন বক্তারা।
বিশ্লেষকদের মতে, তারেক রহমানের বক্তব্যে নারী সমাজকে সংগঠিত করে রাজনৈতিক ও সামাজিক আন্দোলনে সম্পৃক্ত করার কৌশল স্পষ্ট হয়ে উঠেছে, যা আসন্ন নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা বহন করে।