মাহমুদা আক্তার নাঈমা:
নির্মাণাধীন ১০ তলা ছাত্র হলের ছাদ ধসে অন্তত ৬ জন শ্রমিক আহত হয়েছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়)।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই ২০২৫) বিকাল ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে। জানা যায়, যখন এ দুর্ঘটনাটি ঘটে তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ছাত্র হলের দ্বিতীয় তলার ঢালাই কাজ চলছিল। আহতদের ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার পরপরই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. আশরাফুল আলম এবং প্রক্টর ড. মাহবুবুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মাহবুবুর রহমান জানান, “চার থেকে ছয়জন শ্রমিক আহত হয়েছেন, একজনের অবস্থা বেশ গুরুতর। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।”
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, বিকেল চারটার দিকে ছাদের পূর্ব-দক্ষিণ অংশে ঢালাই শুরু হলে হঠাৎ কাঠামো দুলতে থাকে এবং মুহূর্তেই ভেঙে পড়ে। এতে উপরে কাজ করা শ্রমিকরা নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। তাদের কোমর, হাঁটু ও পিঠে আঘাত লেগেছে।
আহত শ্রমিকদের একজন জানান, দুপুরে ঢালাই কাজ শুরু হয়। বিরতির পর আবার কাজ চলছিল। এ সময় প্রায় ১৫ জন শ্রমিক ছিলেন, তাদের মধ্যে অন্তত ১০ জন আহত হন, যাদের মধ্যে ছয়জনের অবস্থা গুরুতর।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান জানান, ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় নির্মিতব্য হলের পোর্চের ঢালাই চলাকালে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এদিকে দুর্ঘটনা তদন্তে প্রক্টর ড. মাহবুবুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। সদস্যরা হলেন—ড. মো. বখতিয়ার উদ্দিন, ড. মো. আশরাফুল আলম, মো. অলি উল্লাহ, সৈয়দ মোফাছিরুল ইসলাম এবং সদস্য-সচিব প্রকৌশলী মো. মাহবুবুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, নবনির্মিত এই কমিটিকে ৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।