মোঃ মাহমুদুল হাসান:
সোনামসজিদ স্থলবন্দরের পরিধি বাড়িয়ে এটিকে আরও কার্যকর এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের উপযোগী রূপ দিতে সরকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছেন নৌ-পরিবহন ও শ্রম-কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, স্থলবন্দর সম্প্রসারণের প্রস্তাব বিশ্বব্যাংকের পরবর্তী প্রকল্পে অগ্রাধিকারভিত্তিতে অন্তর্ভুক্ত করার প্রচেষ্টা চলছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে সোনামসজিদ স্থলবন্দরে স্থানীয় প্রশাসন, কাস্টমস, ট্রেড ইউনিয়ন ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
বন্দর সম্প্রসারণ ও লিংকরোড নির্মাণের প্রস্তাব
উপদেষ্টা বলেন, “সোনামসজিদ স্থলবন্দরটি দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে। বন্দরের পরিধি বৃদ্ধি ও একটি লিংকরোড নির্মাণের দাবি উঠেছে বন্দর ব্যবহারকারীদের পক্ষ থেকে। এই দাবির প্রেক্ষিতে স্থানীয় জেলা প্রশাসককে একটি সমন্বিত উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি করে প্রস্তাব পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, বন্দরসংলগ্ন কিছু খাসজমি রয়েছে যা সম্প্রসারণে কাজে লাগানো যেতে পারে। পাশাপাশি কিছু ব্যক্তি-মালিকানাধীন জমিও অধিগ্রহণের প্রয়োজন হতে পারে।
বিশ্বব্যাংকের মাধ্যমে সম্ভাবনা মূল্যায়ন
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, “বাংলাদেশে ইতিপূর্বে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বেশ কয়েকটি বন্দর উন্নয়ন হয়েছে। আগামীতেও যদি তারা নতুন কোনো প্রকল্প হাতে নেয়, তাহলে সোনামসজিদ বন্দর সম্প্রসারণ সেখানে অগ্রাধিকার পাবে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করছি।”
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম সফিউজ্জামান, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. আব্দুস সামাদ, পুলিশ সুপার মো. রেজাউল করিম, জেলা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াহেদ, পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাহুরা নওসাবা এবং চেয়ারম্যান মো. আতিকুর রহমান খান, আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি আলহাজ্ব মো. একরামুল হক ও সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফ উদ্দিন ইতি সহ আরও অনেকে।
এ সময় বক্তারা সোনামসজিদ স্থলবন্দরকে আরও আধুনিক, নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।