গাইবান্ধা প্রতিনিধি:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি গাইবান্ধা সদর উপজেলা শাখার ৮ নম্বর বোয়ালী ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (৩ আগস্ট) বিকালে বোয়ালী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ৮ নম্বর বোয়ালী ইউনিয়ন বিএনপি এই সম্মেলন ও কাউন্সিলের আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক (ভারপ্রাপ্ত) নুরুল আজাদ মন্ডল এবং প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুন নবী টিটুল। দ্বিতীয় বক্তা ছিলেন সদর থানা বিএনপির সদস্য সচিব ইলিয়াস হোসেন।
বোয়ালী ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে ও আজহারুল হান্নানের সঞ্চালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল আউয়াল আরজুসহ অনেকে।
এ সময় জেলা, সদর, ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সকল স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কাউন্সিলে শরিফুল ইসলাম রুবেল সভাপতি, শাহাদুল মিয়া সাধারণ সম্পাদক এবং আতিকুর রহমান সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন।
দ্বিবার্ষিক কাউন্সিলে গোপন ব্যালটে ভোটগ্রহণের মাধ্যমে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত করা হয়।
নির্বাচনে সভাপতি পদে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে অ্যাডভোকেট শরিফুল ইসলাম রুবেল ২০২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আব্দুস সবুর আহম্মেদ (গরুর গাড়ি প্রতীক) পেয়েছেন ৯২ ভোট এবং মনিরুজ্জামান মনু (ছাতা প্রতীক) পেয়েছেন ১৭ ভোট।
সাধারণ সম্পাদক পদে ফুটবল প্রতীক নিয়ে মো. শাহাদুল মিয়া ২০০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এই পদে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বী শরিফুল ইসলাম (আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ৯৩ ভোট।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে (টিয়া পাখি প্রতীক) নিয়ে মো. আতিকুর রহমান ১৪১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মো. সোহানুর রহমান নয়ন (কলস প্রতীক) পেয়েছেন ৮২ ভোট, মো. মোখলেছুর রহমান (দেয়াল ঘড়ি প্রতীক) ৫ ভোট এবং মো. বিলাত আলী (মই প্রতীক) পেয়েছেন ৬৩ ভোট।
সম্মেলন ও কাউন্সিলের নির্বাচন পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট কাজী আমিরুল ইসলাম ফকু, আহ্বায়ক, নির্বাচন পরিচালনা কমিটি।
এদিকে সকাল থেকেই সম্মেলন ও কাউন্সিলের ভোটগ্রহণের কথা থাকলেও পুরাতন কমিটির একটি অংশ নির্বাচন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ ও রাস্তা অবরোধ করে বলে অভিযোগ ওঠে। পরে দুপুরে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুন নবী টিটুল ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেন এবং তার হস্তক্ষেপে বিকেল তিনটার দিকে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাঠে উপস্থিত ছিলেন এবং সার্বিক পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখেন।
ভোট শুরু হওয়ার পর নেতাকর্মীদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। নির্বাচনকে ঘিরে পুরো এলাকাজুড়ে বিরাজ করছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। সার্বিকভাবে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ায় ভোটার ও সংশ্লিষ্টরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এ সময় নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দ আগামী দিনে দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম আরও সুসংহত, শক্তিশালী ও গণমুখী করে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।