স্টাফ রিপোর্টারঃ
বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট, মোল্লাহাট, চিতলমারী) আসনের তৃণমূল থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণের মাঝে দাবি উঠেছে মোল্লাহাটের কৃতি সন্তান, দেশবরেণ্য আইনজীবী, বাগেরহাটের উকিল বারের বারংবার নির্বাচিত সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপুকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-১ আসন থেকে বিএনপির এমপি হিসেবে দেখতে চান মোল্লাহাট, ফকিরহাট এবং চিতলমারী উপজেলা বাসিন্দারা।
বাগেরহাট জেলার গরিব, দুঃখী, অসহায়, হতদরিদ্র ছিন্নমূল মানুষের কাছে মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছেন শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু। শীতকালীন সময়ে গরিব দুঃখী হতদরিদ্র মানুষের কথা ভেবে প্রায় দুই যুগ ধরে মানুষের কষ্ট লাঘবের জন্য শীতবস্ত্র বিতরণ, বিনা টাকায় আইনি সহযোগীতা, নিজ অর্থ ব্যয়ে নেতা কর্মীদের মামলা পরিচালনা সহ বাগেরহাটবাসীর জীবনমান উন্নয়নের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
তিনি জেলার মানুষের কল্যাণে কাজ করার কারণে এবারের আসন্ন সংসদ নির্বাচনে বাগেরহাট-১ আসনবাসী তাকেই যোগ্য প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছেন বলে তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে সাধারণ জনসাধারণের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতিত্ব করা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বিএনপি থেকে মনোনীত হয়ে সংসদ সদস্য হিসেবে ঘাত-প্রতিঘাত সহযোদ্ধা হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় লড়েছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির নির্বাহী সদস্য ও বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে পাওয়া আর না পাওয়ার হিসেব না করেই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নেতা কর্মীদের এক বুক ভালোবাসা দিয়ে দলের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে গেছেন শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু। দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী লীগের শাসনামলে শেখ পরিবারের বিভিন্ন জুলুম-অত্যাচার সহ্য করেও বিএনপির নেতা-কর্মীদের নিয়মিত খোঁজ খবর, মামলা পরিচালনায় আইনি সহযোগীতা সহ নিজের অর্থ দিয়েও দলের জন্য কাজ করেছেন তিনি।
বাংলাদেশ ৯৫ (বাগেরহাট-১) মোল্লাহাট, ফকিরহাট, চিতলমারী নির্বাচনী এলাকায় তৃণমূল থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণের প্রাণের দাবী, এবারের নির্বাচনে বিএনপি হতে শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপুকে মনোনয়ন দেওয়া হলে সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে এমপি হিসেবে সাধারণ জনগণের বিপুল ভোটে তাকে মহান জাতীয় সংসদে পাঠাবে জনগণ—এমনটাই জানা গেছে বাগেরহাট-১ আসনের তৃণমূল পর্যায় থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণের মাঝে।
বাগেরহাটবাসী তাকে সৎ, সাহসী, মেধাবী ও মানবিক মানুষ হিসেবে বিবেচনা করেন। তার রাজনৈতিক ত্যাগ ও মানবসেবার ইচ্ছাকে শ্রদ্ধার সাথে গ্রহণ করছেন দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মী এবং সাধারণ জনগণ।
চিতলমারীর এক মুদি দোকানী রইচ উদ্দিন বলেন, “ওয়াহিদুজ্জামান দিপু ভাই অন্য উপজেলার হলেও সে আমাদের ঘরের মানুষ। তিনি গরিব, দুঃখী, অসহায়, হতদরিদ্র ছিন্নমূল মানুষের সমস্যা বোঝেন। তিনি বাগেরহাট-১ আসনে এমপি হলে সাধারণ জনগণের জন্য কাজ করবেন বলে আমি মনে করি।”
দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতা-কর্মী থেকে শুরু করে এলাকাবাসী ব্যাপক দাবির পরেও শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি অপেক্ষমান। তিনি বলেন, “আমি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ মেনে রাজনৈতিক জীবনধারা পরিচালনা করে আসছি। দল ও ধানের শীষ প্রতিকের পক্ষে দীর্ঘদিন সময় ধরে কাজ করে চলেছি। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে আমার কোনো মতামত নেই। দল ও হাইকমান্ড যে সিদ্ধান্ত নিবেন, ওটাই আমার চূড়ান্ত মতামত। যেহেতু আমি বিএনপির রাজনীতি করি, আমার ব্যক্তিগত কোনো মতামত নেই, দলের সিদ্ধান্তের প্রতি আমি একমত। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের দেখানো জাতীয়তাবাদী আদর্শের একজন কর্মী হয়ে আমি দলের জন্য কাজ করে চলেছি। দল যদি আমাকে আবারো সুযোগ দেয়, তবে জনগণের অধিকার রক্ষার্থে বাগেরহাট-১ আসনের বাসির উন্নয়নে কাজ করে যাবো।”
বাগেরহাট-১ আসনের তৃণমূল ও সাধারণ জনগণের ভাষ্য মতে, শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু রাজনৈতিক জীবন, সংগ্রাম, ত্যাগ ও জনসেবায় কাটিয়েছেন। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দুর্বার গতিতে পাড়ায়, মহল্লায়, হাট-বাজার ঘরে ঘরে নিয়ে যাচ্ছেন মানুষের কাছে।
বিগত দিনে জুলুম, নির্যাতন, মামলা ও একাধিক বার জেলজীবন সহ্য, নিজ দলীয় নেতা-কর্মিদের আইনি সেবা, নেতা-কর্মিদের অর্থ সহযোগিতা এবং গরিব, দুঃখী, অসহায়, হতদরিদ্র ছিন্নমূল মানুষের জন্য নিজ সামর্থ অনুযায়ী মানবসেবায় নিজেকে বিলিয়ে রেখেছিলেন এবং এখনো রেখেছেন। তিনি দলের জন্য কাজ করে গেছেন। মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে থেকেও নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন তাকে তাড়া করে বেড়িয়েছে। তার অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও সম্প্রীতির বন্ধন তাকে এলাকায় সবার কাছে প্রিয় মানুষ হিসেবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।
বাগেরহাট-১ আসন (ফকিরহাট-মোল্লাহাট-চিতলমারী) এর মানুষ চান, শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু ২০০৮ সালের মতো এবারে যেনো ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়েন। তার সততা, দক্ষতা ও জনবান্ধব, অসাম্প্রদায়িক নীতির কারণে তাকে এমপি হিসেবে দেখতে চান সর্বস্তরের মানুষ। এখন দলীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করবে, শেখ ওয়াহিদুজ্জামান দিপু কি হবেন বাগেরহাট-১ এর জনগণের কাঙ্ক্ষিত প্রতিনিধি?