শিবালয়ে চায়না জাল ধ্বংসের পর রড বিক্রি, অভিযানে অংশ নেওয়া সদস্যের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম: 

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের তাড়াইল মৌজায় শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট অভিযানে প্রায় ৭০টি অবৈধ ‘চায়না জাল’ জব্দ করে তা পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

তবে অভিযানের পর ধ্বংস করা জালের অবশিষ্ট লোহার রড বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে অভিযানে অংশ নেওয়া এক সাদা পোশাকধারী রিফাত নামে ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রিফাত শিমুলিয়া বাজারের মেসার্স দিয়ামণি এন্টারপ্রাইজের হকার মো. শেরে আলীকে ডেকে এনে জালের রডগুলো প্রায় ৫,৫০০ টাকায় বিক্রি করেন।

হকার শেরে আলী বলেন, “রিফাত স্যার আমাকে ডেকে নিয়ে এসে রডগুলো বিক্রি করে। তিনি সাদা কাগজে নাম লিখে দিয়ে যান— কোনো সমস্যা হলে যেন ফোন দিই।”

অন্যদিকে দোকানের মালিক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “হকার আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, ৬,৫০০ টাকার মতো লোহা কিনবে বলে।”

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সরকারি অভিযানে ধ্বংস করা জালের অংশ থেকে প্রাপ্ত রড বিক্রির অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার কথা থাকলেও তা না করে ব্যক্তিগতভাবে আত্মসাৎ করা হয়েছে। বিক্রির সময় কোনো সরকারি রসিদ বা স্থানীয় প্রতিনিধির স্বাক্ষরও নেওয়া হয়নি। তারা বলেন, “জাল পুড়িয়ে আবার রড বিক্রির মতো ঘটনা এই প্রথম দেখলাম। এটা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।”

শিমুলিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মজিদ বলেন, “আমি ১৪ জন শ্রমিক নিয়েছিলাম ইউএনও স্যারকে জানিয়ে।”

অভিযুক্ত রিফাতের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “রং নাম্বারে ফোন দিয়েছেন।”

শিবালয় উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, “অভিযানে যা জব্দ করা হয় তা ধ্বংস করার নির্দেশ থাকে, বিক্রির কোনো নির্দেশনা নেই।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *